শাস্ত্র মতে একাদশী তিথিতে উপবাস করলে পার্থিব জীবনের সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে কিছু বিধি নিষেধও রয়েছে। ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী মনে করা হয় এই দিনে কোনও কোনও কাজ করা মোটেও শুভ নয়। কিছু কাজ এই দিনে নিষিদ্ধ বলে মনে করা হয়। জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত—
আরও পড়ুন: রাস্তায় বাড়ছে আতঙ্ক, ঘরে ঢুকে গিয়ে কামড়ে ধরছে ‘পাগলা’ কুকুর! তুলকালাম আরামবাগে
advertisement
এখন চলছে পবিত্র শ্রাবণ মাস। এবার এই মাস মলমাস হিসেবে গণ্য হচ্ছে। এরই মধ্যে আগামী ২৯ জুলাই একাদশী। এটি বিশেষ পদ্মিনী একাদশী। এইদিনে উপবাস পালন করলে সাধারণ একাদশীর চেয়ে ১০ গুণ বেশি ভাল ফল পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। একাদশীর দিন ভগবান শ্রী হরি বিষ্ণুর উপাসনা করার নিয়ম রয়েছে। অযোধ্যার বিখ্যাত জ্যোতিষাচার্য পণ্ডিত কল্কি রাম বলেছেন, হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী মানুষরা যদি ওই দিন উপবাস রাখতে চান, তাহলে আরও কয়েকটি দিকে নজর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: জওয়ানের নতুন গানে কী বার্তা শাহরুখের? শুনেই দেখুন, চমকে যাবেন!
ওই রাতে ঘুমনো যাবে না। একাদশীতে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা উচিত। বিষ্ণুমন্ত্র জপ করতে হবে। রাতে ভগবান বিষ্ণুর ছবি রেখে জাগরণ করতে হবে। এটা করতে পারলে জীবনে ইতিবাচক শক্তি প্রবাহিত হবে। শুধু তাই নয়, একাদশীর দিন অন্ন গ্রহণও করা যাবে না। ধর্মীয় কিংবদন্তী অনুসারে, একাদশীর দিন যদি কেউ ভাত খান তবে পরবর্তী জীবনে তিনি মনুষ্যেতর যোনিতে জন্মগ্রহণ করেন।
একাদশীর দিন মঞ্জন করাও নিষেধ।
এছাড়া মিথ্যা বলা, কারও নিন্দা করা, কারও ক্ষতি কামনা করার মতো বিষয়ও পরিহার করতে হবে। না হলে সমস্ত সমাজে পাপের ভাগিদার হতে হবে ওই মানুষকে।
একাদশী তিথিতে গাছ থেকে তুলসি পাতা উপড়ে ফেলাও নিষেধ। শাস্ত্রে এও বলা হয়েছে দ্বাদশী তিথি পালন করতে হলে শুধুমাত্র তুলসী পাতা দিয়েই করা উচিত।
যদি কেউ একাদশীর উপবাস করেন, তাহলে তাঁকে মসুর ডাল, ছানার ডাল, অরহর ডাল, বাঁধাকপি, গাজর, ওলকপি, পালং শাক ইত্যাদি খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে।