যাঁরা জ্যোতিষশাস্ত্র এবং ধর্মীয় বিশ্বাস মেনে চলেন, তাঁদের পঞ্চকের সময় দক্ষিণ দিকে ভ্রমণ এড়িয়ে চলাই উচিত। এখানেই শেষ নয়, প্রতি মাসের এই নির্দিষ্ট পাঁচ দিনে কিছু কিছু কাজ একেবারেই করা নিষিদ্ধ। পণ্ডিত বিনয় কুমার ঝা-এর মতে, চন্দ্র যখন কুম্ভ এবং মীন রাশিতে গমন করেন, তখনই পঞ্চক হয়ে থাকে। এই সময়ে পাঁচটি নক্ষত্রের একটি সমূহ গড়ে ওঠে। যার মধ্যে শামিল থাকবে ধনিষ্ঠা নক্ষত্রের তৃতীয়া চরণ এবং শতভিষা, পূর্ব ভদ্রপদা, উত্তর ভদ্রপদা এবং রেবতী নক্ষত্র। নক্ষত্রের এই সমূহের কারণে একটি দোষ বা ত্রুটি তৈরি হয়, যাকে পঞ্চক বলে অভিহিত করা হয়।
advertisement
পঞ্চক সম্পর্কে ভুল ধারণা:
পণ্ডিত বিনয় কুমার ঝা ব্যাখ্যা করেছেন যে, পঞ্চক প্রতি মাসেই হয়। তবে এই সময়ের মধ্যে যে প্রতিটি শুভ কাজ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, তেমনটা একেবারেই নয়। তবে এই সময় চলাকালীন পাঁচটি কাজ নিষিদ্ধ করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হল - কাঠ সংগ্রহ বা একত্র করা, নতুন বাড়ি তৈরি অথবা ছাদ নির্মাণ, শবদেহ দাহ, খাট অথবা পালঙ্ক তৈরি করা। এর পাশাপাশি আরও একটা কাজ নিষিদ্ধ। সেটা হল - এই পঞ্চক চলাকালীন দক্ষিণ অভিমুখে যাত্রা করা নিষিদ্ধ।
কিন্তু এই সময়ে কারওর মৃত্যু ঘটলে কী করণীয়? সেই প্রসঙ্গে গরুড় পুরাণে বর্ণিত বিধান উল্লেখ করেছেন পণ্ডিত বিনয় কুমার ঝা। তাতে বলা হয়েছে যে, যাঁর মৃত্যু হয়েছে, তাঁর কুশপুত্তলিকা তৈরি করতে হবে। আগে সেটা দাহ করে তবেই শবদেহ দাহ করা উচিত।
আরও পড়ুন- নিজেই নিজের বস! ঘরে বসে এই কাজ করেই মাসে উপার্জন হবে লক্ষ লক্ষ টাকা
পঞ্চকে দক্ষিণ দিকে যাত্রা নিষিদ্ধ কেন?
পণ্ডিত বিনয় কুমার ঝা-এর ব্যাখ্যা, পঞ্চকের সময় দক্ষিণ দিশায় ভ্রমণ করাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত হয়। কারণ প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, দক্ষিণ দিকে মৃত্যুর দেবতা যমরাজের আধিপত্য রয়েছে। এই পঞ্চক চলাকালীন যদি কোনও ব্যক্তি দক্ষিণ অভিমুখে বা দক্ষিণ দিকে যাত্রা করেন, তাহলে তাঁর ক্ষতি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যদি কোনও কারণে দক্ষিণ অভিমুখে ভ্রমণের প্রয়োজন হয়, তবে প্রথমে হনুমান মন্দিরে গিয়ে ভক্তি ভরে তাঁর উদ্দেশ্যে পুজো নিবেদন করতে হবে। সেই সঙ্গে তাঁকে ফলও নিবেদন করা উচিত। এতে পঞ্চক দোষ বা পঞ্চক ত্রুটি দূর হবে।