অন্য দিকে, যদি সূর্যসিদ্ধান্ত বাংলা মত ধরতে হয়, তাহলে জ্যৈষ্ঠ মাস শুরু হচ্ছে ১৬ মে, ২০২৩ তারিখ, মঙ্গলবার থেকে। পণ্ডিতজি আমাদের জানিয়েছেন যে এই জ্যৈষ্ঠ মাসের কিছু আধ্যাত্মিক গুরুত্ব রয়েছে হিন্দু ধর্মে। এই মাস শ্রীবিষ্ণুর অতীব প্রিয়, অন্য দেব-দেবীদেরও পছন্দের মাস জ্যৈষ্ঠ।
ফলে, এই মাসে নানা রকমের পুণ্য ব্রতের উদযাপন হয়। আবার এও বলা হয় যে, শ্রীরাম এবং হনুমানজির প্রথম দেখাও হয়েছিল এই জ্যৈষ্ঠ মাসেই- তাই এই মাসের মঙ্গলবারগুলোতে বজরঙ্গবলীর মন্দিরে ভক্তের সমারোহ হয় চোখে পড়ার মতো।
advertisement
এই প্রসঙ্গে কথক পবনদাস শাস্ত্রী আমাদের এই পবিত্র মাসে কিছু নিয়ম পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে লোকমতে এই নিয়ম জ্যৈষ্ঠে না পালন করলে অসন্তুষ্ট হন প্রভু বিষ্ণু, পরিণামে দুর্ভাগ্য গ্রাস করে। এই জ্যৈষ্ঠ মাসে দুপুরবেলায় ঘুমানো যাবে না, তা দেব-দেবীদের ক্রোধের কারণ হয়ে ওঠে। ফলে, দিবানিদ্রা ত্যাগ করে সংযত হওয়া অবশ্য কর্তব্য।
শুধু তাই নয়, বলা হয় যে জ্যৈষ্ঠের দিবানিদ্রা নানা রকমের ব্যাধি ডেকে আনে, যা স্বাস্থ্য এবং অর্থক্ষয়ের কারণ হয়ে ওঠে। নিয়ম করে সময়ে সময়ে এই প্রখর তাপের মাসে গাছে জল দিতে হবে। জলের অপচয় জ্যৈষ্ঠ মাসে কোনও ভাবেই করা যাবে না। দরিদ্রদের সাধ্যমতো দান করা উচিত জ্যৈষ্ঠ মাসে।
আরও পড়ুন, কোথায় ঘূর্ণিঝড় মোকা! তীব্র গরমে পুড়ছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ, রইল আবহাওয়ার আপডেট
আরও পড়ুন, ঘুমের মধ্যে কেঁপে উঠল বাড়ি! কাকভোরে প্রবল ভূমিকম্প, আতঙ্কে রয়েছেন সকলে
এই পবিত্র মাসে কাউকে কষ্ট দেওয়া উচিত নয়। ধার দেওয়া এবং নেওয়া উভয় থেকেই বিরত থাকতে হবে জ্যৈষ্ঠ মাসে। জ্যৈষ্ঠের প্রতি মঙ্গলবারে বজরঙ্গবলীজিকে মোতিচুরের লাড্ডু ভোগ দিতে হবে, সম্ভব না হলে অন্তত মন্দিরে গিয়ে তাঁর দর্শন অবশ্য কর্তব্য।