জ্যোতিষাচার্য পণ্ডিত কল্কি রাম জানাচ্ছেন, রামভক্ত হনুমান কলিযুগে এমনই একজন দেবতা যিনি সরাসরি ভক্তদের কল্যাণ করেন, যাবতীয় সঙ্কট মোচন করেন। খুব সহজেই তিনি খুশি হয়ে আশীর্বাদ করেন। হনুমান চালিসাতেও এরকম অনেক চৌপাই-এর কথা বলা রয়েছে, যা জপ করলে জীবনের সকল বাধা দূর হতে পারে।
আবার হনুমান জয়ন্তীর দিনে নানা আচার পালন করলে অর্থের সমস্যার সমাধান হয়, দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করা মানুষ এবং যাঁরা শত্রুর ষড়যন্ত্রে বিপর্যস্ত, তাঁদের উপকার হয়।
advertisement
আরও পড়ুন-বিশেষ এফডি স্কিম, কম মেয়াদের বিনিয়োগে এখানে মিলবে ৯.১৫ শতাংশ সুদ !
শত্রু বিজয়—
যদি কোনও ব্যক্তি শত্রু পক্ষের ষড়যন্ত্রে বিপর্যস্ত হন, প্রতিপক্ষ বারবার যে কোনও কাজে বাধা দেয়, তবে হনুমান জন্মোৎসবের দিন বজরঙ্গবলীকে সিঁদুরে লাল রঙের লাঙ্গট এবং পানের খিলি নিবেদন করা করতে হবে। এতে করে সকল প্রকার সঙ্কট থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
রোগমুক্তি—
নিজের বা পরিবারে কোনও রোগভোগ বা অশান্তি থেকে থাকলে হনুমান জন্মোৎসবের দিন বজরঙ্গবলীর কাঁধে সিঁদুরের টিকা লাগিয়ে রোগীর মাথায় টিকা লাগিয়ে দিতে হবে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী এতে সমস্ত অমঙ্গল দূর হয়ে যায়।
অর্থ সঙ্কট থেকে মুক্তি—
আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে চাইলে হনুমান জয়ন্তীতে ১১টি বট পাতার উপর লাল চন্দন দিয়ে শ্রীরামের নাম লিখে একটি মালা তৈরি করতে হবে। এই মালা পরিয়ে দিতে হবে পবনের পুত্র বজরঙ্গবলীকে। বলা হয় এতে জীবনের সব কষ্ট দূর হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- শুধু ধর্মেন্দ্রই নন; স্বপ্নসুন্দরী হেমা মালিনীর প্রেমে পাগল ছিলেন বলিউডের এই তিন তারকাও!
ব্যবসায় বৃদ্ধি—
নিজের ব্যবসায় উন্নতি চাইলে হনুমান জন্মজয়ন্তীতে দিন সঙ্কটমোচনের সামনে তেলের প্রদীপ নিবেদন করতে হবে। সেইসঙ্গে পাঠ করতে হবে ‘ওম নমো হনুমতে রুদ্রাবতারায় সর্ব সুহারায় নমঃ’।
সন্তান লাভ—
জীবনে সন্তানসুখে যাঁরা বঞ্চিত তাঁরা হনুমান জয়ন্তীর দিন বাড়িতে সুন্দরকাণ্ড পাঠ করুন। সেই সঙ্গে দরিদ্রদের মধ্যে লাড্ডু বিতরণ করুন। বিশ্বাস করা হয়, এতে সন্তান লাভ করা যায়।
(প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷)
