মিথুন (Gemini):
মিথুন রাশির অধীনে জন্মগ্রহণকারীদের নিয়ন্ত্রণ করেন বুধ। পান্না বুধের রত্ন এবং যাঁরা এই মূল্যবান রত্নপাথর পরিধান করেন তাঁরা শুভ ফল পান। এটি তাঁদের চিন্তা-চেতনার সমৃদ্ধিতে সহায়তা করে। উদ্বেগজনিত ব্যাধি সৃষ্টিকেও নিয়ন্ত্রণ করে পান্না। এই রত্ন পরিধান করলে দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ হয়, মস্তিষ্ক কার্যকরী হয়, পাশাপাশি মনে আসা যে কোনও সন্দেহ দূর করতে সাহায্য করে এই গ্রহরত্ন।
advertisement
আরও পড়ুন- সবার সঙ্গে পেরে ওঠেন না? ইংরেজির এই অক্ষর দিয়ে নাম শুরু নয় তো?
কন্যা (Virgo):
বুধ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত রাশির অন্যতম হল কন্যা রাশি। কন্যা রাশির জাতক-জাতিকারা খুবই সাহায্যকারী প্রকৃতির মানুষ হন, এছাড়াও তাঁরা চমৎকার ভাবে কোনও কাজের পরিকল্পনা করতেও সক্ষম হন। এঁরা যে কোনও কাজে মানসিক শক্তি ব্যবহার করে সফলতা আনতে সক্ষম। পান্না ধারণ করলে জাতক-জাতিকারা আরও বাস্তববাদী এবং বিশ্লেষণাত্মক হয়ে উঠবেন। এছাড়াও অনুপ্রেরণা এবং ধৈর্যের শক্তি যোগাতেও পান্না দারুন উপকারী। যে কোনও কাজে উৎসাহিত করতে পান্না এঁদের সহায়ক।
কাদের কখনই পান্না ধারণ করা উচিত নয়?
সাধারণত বলা হয় মেষ, কর্কট, ধনু এবং মীন রাশির জাতক-জাতিকাদের কখনওই পান্না ধারণ করা উচিত নয়। যেহেতু এই সকল রাশিদের অধিপতি বুধ নন, তাই এঁরা পান্না ধারণ করলে উপযুক্ত ফল পাবেন না।
আরও পড়ুন- আশাবাদী এবং বাস্তববাদী মনের মানুষ; 'N' দিয়ে নাম শুরু হলে আর কী বলছে জ্যোতিষ?
পান্না পরার সঠিক উপায়
পান্না পরিধান করার জন্য সঠিক সময়, উপায় এবং তারিখ নির্ণয় শুধুমাত্র জ্যোতিষী বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করেই করা উচিত। সাধারণত বুধবার সূর্যোদয়ের সময় থেকে প্রথম এক ঘন্টার মধ্যে পান্না পরিধান করতে হয়। রত্নটি পরার আগে ১০৮ বার "ওম বুধায়ে নমঃ ওম" বা "ওম বুধায়ে নমঃ" মন্ত্র জপ করতে হবে। এটি কনিষ্ঠা বা অনামিকা আঙুলে রুপো, সোনা বা ব্রোঞ্জের সঙ্গে ধারণ করতে হবে।
পান্না পরার উপকারিতা
পান্না বুদ্ধিমত্তা, জ্ঞান এবং ব্যবসায়িক দক্ষতা বাড়ায়
দ্রুত গতিতে সাফল্য পেতে সাহায্য করে
যোগাযোগ সংক্রান্ত সমস্যায় সাহায্য করে
পাকস্থলী, কিডনি, মস্তিষ্ক এবং কান সম্পর্কিত অসুস্থতা নিরাময়ে সাহায্য করে
বৈবাহিক সুখ-শান্তি স্থাপনেও সাহায্য করে