এই সময় জমি অথবা যানবাহন কেনার ফলে পারিবারিক সমস্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, খরমাসে ভগবানের পূজারও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
পণ্ডিত শৈলেন্দ্র মুখিয়া লোকাল ১৮-কে বলেন, শাস্ত্রে উল্লিখিত রয়েছে যে, খরমাস চলাকালীন জমি অথবা যানবাহন কেনাবেচা করা একেবারেই উচিত নয়। অথবা এই সময় কোনও শুভ অনুষ্ঠানও করা যাবে না। কারণ এই ধরনের কাজ করলে জীবনে সমস্যা বাড়তে পারে।
advertisement
আর এইসব সমস্যা এড়ানোর জন্য জ্যোতিষশাস্ত্র দ্বারা প্রস্তাবিত প্রতিকার অবলম্বন করা উচিত। কেউ যদি এমনটা করেন, তাহলে পরিবারে শান্তি এবং সুখের বাতাবরণ বজায় থাকবে।
আরও পড়ুন- দোলে বাইক বা গাড়ি নিয়ে বেরোবেন? রঙ পড়লে কী হবে! কীভাবে বাঁচবেন শুনুন
খরমাস কত দিন চলবে?
জ্যোতিষী পণ্ডিত লোকাল ১৮-এর কাছে বলেন যে, গত ১৪ মার্চ থেকে শুরু হওয়া খরমাস আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। খরমাসের চলাকালীন দেবী তুলসীর পূজা সবচেয়ে বেশি করা উচিত। প্রতিদিন সকালে দেবী তুলসীর উদ্দেশ্যে জল অর্পণ করে দেবতার ধ্যান করতে হবে। এতে নানা ঝামেলা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
খরমাস কী?
ভগবান সূর্য যখন মীন রাশিতে প্রবেশ করেন, তখন তাকে খরমাস বলে। আসলে গত ১৪ মার্চ মীন রাশিতে প্রবেশ করেছেন ভগবান সূর্য। তাই তখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে খরমাস।
এই মাসে বিয়ের মতো শুভ অনুষ্ঠান করা চলবে না। এমনকী গাড়ি অথবা জমিও এই সময় কেনা উচিত নয়। আসলে এই সময় যদি কেউ জমি এবং যানবাহন কেনেন, তাহলে তাঁর সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন- কেন হয় না নীল-লাল চাকা? টায়ার সবসময় কালো রঙের হয় কেন? চমকদার কারণ
এই সংক্রান্ত কিছু প্রতিকার:
জ্যোতিষী পণ্ডিত শৈলেন্দ্র মুখিয়ার মতে, পরিবারে যাতে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদে সুখ, শান্তি বজায় থাকে, তার জন্য খরমাসে সকালে স্নান করে তুলসী মাতার পূজা করতে হবে।
সেই সঙ্গে সকালে দেবী তুলসীর উদ্দেশ্যে জল অর্পণ করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, এই সময় পণ্ডিতকে দান করারও বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই সব প্রতিকার অবলম্বন করলে সমস্ত ঝামেলাও দূর হয়ে যায়।