ধনতেরাসকে নিয়ে আরও একটি গল্প রয়েছে৷ সেটা হল, একসময় দুর্বাশা মুনির অভিশাপে স্বর্গ হয় লক্ষ্মীহীন। রাক্ষসদের সঙ্গে লড়াই করে সমুদ্রমন্থনের পর ধনতেরাসেই দেবতারা ফিরে পান দেবী লক্ষ্মীকে। হারিয়ে যাওয়া লক্ষ্মীকে ফিরিয়ে আনার উপাসনাই হচ্ছে ধনতেরাস। ধনতেরাসে শ্রীলক্ষ্মীর আরাধনার মাধ্যমে সূচনা হয় দীপাবলি উৎসবের।
আরও পড়ুনঃ বহাল ৫০০ বছরের প্রাচীন নিয়ম, আজও গ্রামে আসে না মাটির কালী প্রতিমা
advertisement
ধনত্রয়োদশী বা ধন্বন্তরী-ত্রয়োদশী, সংক্ষেপে ধনতেরাস। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের এয়োদশী তিথিতে হয় এই ধনতেরাস৷ ধনতেরাসের শুভ লগ্নে সমৃদ্ধি কামনায় গৃহস্থ বাড়িতে কেনা হয় মূল্যবান ধাতু৷ বলা হয়, আজকের দিনে মূল্যবান ধাতুর জৌলুসে আকৃষ্ট হয়ে মা লক্ষী স্বয়ং আসেন গৃহস্থের বাড়িতে।
ধনতেরাসে, ভগবান ধন্বন্তরির পুজো করা ব্যক্তিদের রোগ থেকে রক্ষা করে এবং বিশেষত চিকিৎসা ক্ষেত্রের জন্য সুস্বাস্থ্যের প্রচার করে বলে বিশ্বাস করা হয়। জ্যোতিষী আচার্য সুপারিশ করেন ধনতেরাসে ভগবান ধন্বন্তরীর পুজা শেষ করার পরে, একজনকে গিলয়ের রস বা কড়া খাওয়া উচিত। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই শুভ দিনে এই রস খাওয়া শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা দেয়।
ধনতেরাসে, সূর্যাস্তের পর লক্ষ্মী পুজো করা হয়। সঙ্গে ধনতেরাস কথা পাঠ করা হয়। দেবী লক্ষ্মীকে স্বাগত জানাতে ভক্তরা তাদের বাড়িতে তেলের প্রদীপ জ্বালায় এবং বাড়ির প্রবেশপথে চালের আটা এবং সিঁদুর দিয়ে জটিল রঙ্গোলি নকশা তৈরি করা হয়। তবে আজকের দিনে ধাতু কেনার কথা কোনও শাস্ত্রে নেই। বর্তমানে ব্যবসায়ীক কারণে এই ধাতু কেনার প্রচলন হয়েছে।
কৌশিক অধিকারী