এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
আরও পড়ুন: আইটিআর জমা করলেই শেয়ার বাজারে ক্ষতির পূরণ, ট্যাক্সে মিলবে ছাড়?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ৩০ জুলাইয়ের কিছুটা পড়েছে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ১৩ শ্রাবণ। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল শনি এবং এই দ্বিতীয়া তিথি থাকবে ৩১ জুলাই রাত ১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি।
advertisement
আরও পড়ুন: ITR জমার বাকি মাত্র ৩ দিন, সম্পত্তি বিক্রয়ে কীভাবে ট্যাক্স ছাড় পাওয়া যেতে পারে!
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৩০ জুলাই সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ২২ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে সন্ধে ৬টা ২৬ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ৩০ জুলাই ভোর ৬টা ২৬ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ৩০ জুলাই সন্ধে ৭টা ৫২ মিনিটে।
এই ১৪২৯ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথির নক্ষত্র হল অশ্লেষা। ৩০ জুলাই, সকাল ১১টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত অশ্লেষা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে মঘা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবে কর্কট রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবে কর্কট রাশিতে ৩০ জুলাই, দুপুর ১২টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত; এর পরে গমন করবে সিংহ রাশিতে।
আরও পড়ুন: দিনে কাজ করুন মাত্র ১ ঘন্টা! তাতেই যা আয় হবে, বাকি সময় পায়ের ওপরে পা তুলে কাটবে!
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৩০ জুলাই মাহেন্দ্রযোগ পড়েনি। অমৃতযোগ ৩০ জুলাই পড়েছে সকাল ৯টা ৪৪ মিনিট - দুপুর ১টা ১৩ মিনিট, রাত ৮টা ৩৮ মিনিট - রাত ১০টা ৪৯ মিনিটে দুই সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৩০ জুলাই রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে ভোর ৫টা ২২ মিনিট - সকাল ৭টা ০০ মিনিট, বিকাল ৪টে ৪৮ মিনিট - সন্ধে ৬টা ২৬ মিনিটে দুই সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।