আষাঢ় মাসের শুক্ল একাদশী থেকে শুরু করে কার্তিক মাসের শুক্ল একাদশী পর্যন্ত চলবে এই বিশেষ শুভ চতুর্মাস। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয়, এই সময় কালে ভগবান বিষ্ণু ক্ষীরসাগরে নিদ্রামগ্ন হয়ে থাকেন। চার মাস ঘুমিয়ে কাটান তিনি। সে কারণেই এই সময়কালে মুণ্ডন, বিবাহ, আশীর্বাদের মতো শুভ কাজ সম্পন্ন করা হয় না এই চার মাস।
advertisement
আরও পড়ুন- শুক্রের গোচরে ধনবান হবেন এই ৩ রাশির মানুষ! কবে থেকে শুরু হচ্ছে অর্থপ্রাপ্তিযোগ?
জ্যোতিষাশাস্ত্র বিশারদদের মতে এ বছর ১০ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে এই চতুর্মাস। সে দিনই আষাঢ় মাসের শুক্ল একাদশী। তার পরের চারমাস ভগবান বিষ্ণু ক্ষীরসাগরের অনন্ত শয্যায় ঘুমিয়ে পড়বেন। সে সময় সারা জগৎ সংসারের দায়িত্ব গিয়ে পড়বে একা মহাদেবের হাতে। এই চার মাস তাই অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়ে। যোগ, জপ, তপের মতো কোনও পবিত্র কর্মও এ সময় করা হয় না।
চতুর্মাসের সময়কালে ভগবান বিষ্ণু চারটি রাশির উপর বিশেষ কৃপা বর্ষণ করে থাকেন বলে মনে করা হয়। শ্রাবণ মাস হল এই চতুর্মাসের অন্যতম। এ সময় সাধু-সন্তরা অমানুষিক ক্লেশ সহ্য করে ভগবানের উপাসনা করে থাকেন। হিন্দু বিশ্বাস- এ সময় যে কোনও রকম ভাল কাজ করলে তার পুরস্কার দেন ঈশ্বর।
এই চার রাশির উপর বর্ষিত হবে বিষ্ণুর কৃপা:
বৃশ্চিক, মেষ, ধনু এবং মীন- এই চার রাশির জাতক জাতিকারা চতুর্মাসে ভগবান বিষ্ণুর বিশেষ কৃপায় ধন্য হবেন। মেষ এবং বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকাদের ভাগ্য থাকবে সুপ্রসন্ন। মীন ও ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা তাঁদের ব্যবসায়ে ব্যাপক উন্নতি লক্ষ্য করবেন, সৌভাগ্য নিয়ে আসবে চতুর্মাস।
আরও পড়ুন- সিবিএসই পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হতে দেরি হওয়ার সম্ভাবনা
চতুর্মাস কী?
জ্যোতিষাচার্য পণ্ডিত কল্কি রাম (Kalki Ram) বলেন, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র ও কার্তিক- এই চার মাস ভগবান বিষ্ণু ক্ষীরোদসাগরে অন্তন শয্যায় নিদ্রামগ্ন হয়ে পড়েন। আর তাঁর যাবতীয় কাজ ততদিন সামলান দেবাদিদেব মহাদেব। চতুর্মাস অর্থাৎ এই চার মাস বিষ্ণু নিষ্ক্রিয় থাকেন।
কেন কোনও পবিত্র কাজ করা হয় না এ সময়?
জ্যোতিষাচার্য কল্কি রাম বলেন, ভগবান বিষ্ণু যখন অনন্তশয্যায় নিদ্রামগ্ন হন, তখন তাঁর ঘুমে ব্যাঘাত ঘটানো উচিত নয়। এ দিকে তাঁকে ছাড়া কোনও শুভ কাজই করা সম্ভব নয়। তাই এই চারমাস শুভ কাজ বন্ধ রাখা হয়। চতুর্মাস শুরু হয় যে একাদশী থেকে তাকে দেবশয়নী একাদশী (Devashayani Ekadashi) বলা হয়।