গ্রহণ কত ক্ষণ স্থায়ী হবে?
জ্যোতিষী সন্তোষ নাগর জানান যে, আগামী ৫ মে বা বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হতে চলেছে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে এবং তা শেষ হবে রাত ১টা ০০ মিনিটে। এই চন্দ্রগ্রহণের সময়কাল হবে ৪ ঘণ্টা ১৫ মিনিট।
আরও পড়ুনঃ বুদ্ধ পূর্ণিমায় অবশ্যই ‘এভাবে’ স্নান করুন, দূর হবে দারিদ্র্য, সংসারে বইবে সুখের বন্যা
advertisement
অশুভ প্রভাব এড়ানোর উপায়:
জ্যোতিষী সন্তোষ নাগরের মতে, চাঁদকে মনের কারক বলে গণ্য করা হয়। কথিত আছে যে, চন্দ্রগ্রহণের সময় রাহুর অশুভ ছায়া চাঁদের উপর পড়লে তা কলুষিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে এটি আমাদের মানসিক অবস্থাকেও প্রভাবিত করে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে গেলে, রাহু প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সময়ে সময়ে চন্দ্রকে আঘাত করে থাকে। যার ফলে মানুষ সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। এর পাশাপাশি ঘুমের সমস্যা শুরু হয়। এই কারণেই চন্দ্রগ্রহণের সময় ঘর থেকে বার হতে নিষেধ করা হয়। কুণ্ডলীতে চন্দ্রের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে চন্দ্রগ্রহণের সময় শিবের মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করা উচিত। এতে অশুভ প্রভাব দূর হবে।
আরও পড়ুনঃ কীভাবে শক্তি বাড়াবে মোকা? কোন পথে চালাতে পারে ধ্বংসলীলা? রইল সর্বশেষ আপডেট
চন্দ্রগ্রহণের উপ-ছায়া:
জ্যোতিষাচার্যের মতে, সূর্য, পৃথিবী এবং চন্দ্র – এই তিন গ্রহের কারণেই চন্দ্রগ্রহণ হয়। পৃথিবী যখন সূর্য এবং চাঁদের মাঝখানে এসে যায় এবং এই তিনটি গ্রহ একই সরলরেখায় থাকে, তখনই চন্দ্রগ্রহণ হয়। এই ধরনের গ্রহণ সম্পর্কে একটি ধর্মীয় বিশ্বাস আছে, কিন্তু যখন এই তিনটি গ্রহ একটি সরলরেখায় থাকে, অথচ পৃথিবীর ছায়া সরাসরি ভাবে চাঁদে পড়ে না, তখন একটি উপ-ছায়া চন্দ্রগ্রহণ হয়। এই ধরনের গ্রহণের ফলে ধূলিকণার মতো পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে, যা সহজে দেখা যায় না।