আচার্য চাণক্য ছিলেন একজন মহান অর্থনীতিবিদ এবং দার্শনিক। রাজনীতি ছাড়াও সমাজের প্রতিটি বিষয়ে চাণক্যের গভীর জ্ঞান ছিল। আচার্য চাণক্যকে ভারত তথা গোটা বিশ্বের মহান অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ চাণক্যর নীতিশাস্ত্রে এমন কিছু নীতির কথা বলা হয়েছে, যা মেনে চললে জীবন বদলে যেতে পারে মুহূর্তের মধ্যে ৷ তেমনই এমন কিছু মানুষ রয়েছে, যাদের থেকে ভুল করে সাহায্য না নেওয়ার কথা বলছেন চাণক্য৷ যেমন একজন অন্ধ ব্যক্তি যেমন কিছুই দেখতে পারে না তেমনই লালসা, ক্রোধ ,লোভে পরিপূর্ণ ব্যক্তি অন্য কিছু দেখতে পারে না। একই সময়ে, স্বার্থপর লোকেরা কারও মধ্যে কোনও দোষ দেখে না। তাদের কাছে সবাই সমান। তাই স্বার্থপর ব্যক্তির সাথে বন্ধুত্ব বা সাহায্য চাওয়া কখনওই উচিত নয়। কারণ এই ধরনের লোকেরা কখনওই আপনার কোনও উপকার করবে না, বরং তারা আপনাকে কষ্ট দেবে।
advertisement
আরও পড়ুন- ‘ব্লাউজ খুলে শুধু ব্রা পরতে হবে’, অমিতাভের সঙ্গে শ্যুটিংয়ে মেজাজ হারান মাধুরী, পরের ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর
আরও পড়ুন- থামছিল না রক্তক্ষরণ, মাতৃগর্ভেই হতে পারত মৃত্যু, লড়াই করে জন্ম শিল্পার! তারপর…
আচার্য চাণক্যের নীতিশাস্ত্রে বলা হয়েছে, লোভী ও ঈর্ষান্বিত ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলা ভীষণ ভাবে জরুরি। এমনকি কঠিন সময়েও এমন লোকের সাহায্য নেওয়া উচিত নয়। কারণ এই ধরনের লোকেরা এতটাই লোভী এবং ঈর্ষান্বিত হয় যারা আপনাকে সাহায্য করার পরিবর্তে আপনার ক্ষতি করবে। প্রকৃতপক্ষে, ঈর্ষান্বিত ব্যক্তিদের সঠিক এবং অন্যায়ের কোনও বোধ নেই। তারা অন্যের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতিতে খুশি হয় না। লোভী লোকেরা অন্যের উন্নতিতে হিংসা করে এবং তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। এই ধরনের মানুষদের থেকে সবসময় দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চাণক্য৷
আচার্য চাণক্যের মতে, সামনে থেকে শত্রু আক্রমণ করে। কিন্তু স্বার্থপর ও নিষ্ঠুর লোকেরা পেছন থেকে আক্রমণ করে। এমন মানুষদের কখনওই বিশ্বাস করা উচিত নয়। একজন স্বার্থপর মানুষ নিজের ভাল ছাড়া জীবনে কিছুই ভাবে না। তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য অন্যকে ফাঁদে ফেলতেও দ্বিধা করে না। চাণক্য আরও বলেছেন যাদের বেশি রাগ রয়েছে,সেই সমস্ত মানু৷দের থেকে সবসময় দূরে থাকা উচিত। রাগ মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু। রাগের সময় মানুষের চিন্তা ও বোঝার ক্ষমতা কমে যায়। রেগে গেলে যে কোনও ব্যক্তি নিজেকে এবং তার চারপাশের লোকেদের ক্ষতি করে ফেলতে পারে। রাগের সময় একজন ব্যক্তির ভাল-মন্দ সম্পর্কে সচেতনতা হ্রাস পায়। সে শুধু তার সুখের কথা ভাবে। এ ধরনের মানুষ শত্রুর চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। তাদের সাহায্য না নেওয়াই শ্রেয়।