চলতি বছরে অক্ষয় তৃতীয়া পালিত হতে চলেছে আগামী ২২ এপ্রিল। ওই দিনে সোনা কেনার প্রসঙ্গে বিএইচইউ-এর জ্যোতিষ বিভাগের অধ্যাপক ড. সুভাষ পাণ্ডে জানিয়েছেন যে, অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে সোনা কেনার কোনও শাস্ত্রীয় আইন নেই। কোনও বেদ, পুরাণ অথবা ধর্মীয় গ্রন্থে এর উল্লেখ নেই।
আরও পড়ুনঃ ৫ মে বৈশাখী পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণ, ভারতের উপর কতটা প্রভাব পড়বে? জেনে নিন বিস্তারিত
advertisement
ড. সুভাষ পাণ্ডের মতে, আসলে বর্তমান সময়ে এই পূজা-অর্চনা, স্নান ও দান-ধ্যানের উৎসবকে বাজারবাদের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। অক্ষয় তৃতীয়ার এই মহা উৎসব ভগবান বিষ্ণুর পুজোর সঙ্গে সম্পর্কিত। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে গঙ্গা স্নান এবং দান করার বহু গুণ ফল লাভ করতে পারা যায়। যা অক্ষয় অর্থাৎ এই পুণ্যের কখনও ক্ষয় হয় না। মানুষ জন্মের পর থেকে গোটা জীবনে এমনকী পরজন্ম পর্যন্ত এই পুণ্যের সদ্ব্যবহার করতে পারে।
কোন বিষয়টা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
জ্যোতিষ বিভাগের অধ্যাপক ড. সুভাষ পাণ্ডে বলেন,সোনা কেনার তুলনায় বরং দানধ্যান করলে শুভ ফল পাওয়া যায়। আসলে অক্ষয় তৃতীয়ার পবিত্র দিনে সোনা কিনে রাখলে তার অক্ষয় ফল কিন্তু পাওয়া যায় না। বরং ফলের সঙ্গে সোনার গুপ্ত দানের সংযোগ রয়েছে। এই দিনে কুমড়ো অথবা তরমুজের মধ্যে রেখে সোনা দান করলে অশেষ পুণ্য অর্জিত হয়ে থাকে। আর এতে বহু গুণ ফল পাওয়া যায়। যাইহোক, স্বর্ণ ছাড়াও মানুষ এই দিনে ঠান্ডা জিনিস দান করতে পারেন। এর মধ্যে অন্যতম হল পাখা, জলের জগ, কলসী-সহ তরমুজ এবং তরমুজ দান করতে হবে। এছাড়া গঙ্গায় ডুব দিয়ে স্নান করা হলেও অক্ষয় পুণ্য লাভ করা সম্ভব।