এই তিথিতেই আবির্ভূত হয়েছিলেন ভগবান বিষ্ণুর দ্বিতীয় অবতার শ্রীকূর্মদেব, মন্দার পর্বতকে পৃষ্ঠে ধারণ করে তিনি দেবাসুরের সমুদ্রমন্থনের মাধ্যম হয়েছিলেন। এই মন্থনে ধ্বংস হয়েছিল পৃথিবীর দারিদ্র্য। আবার, এই বছর, বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের এই পূর্ণিমা তিথিতেই সংঘটিত হতে চলেছে বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ।
আরও পড়ুনঃ কীভাবে শক্তি বাড়াবে মোকা? কোন পথে চালাতে পারে ধ্বংসলীলা? রইল সর্বশেষ আপডেট
advertisement
এই সব দিক বিচার করে দেখলে ইংরেজি মতে ৫ মে, ২০২৩ তারিখ আর বঙ্গাব্দের নিরিখে ২১ বৈশাখ, ১৪৩০ নিঃসন্দেহে একদিকে যেমন পাপনাশক, অন্য দিকে তেমনই দারিদ্র্যধ্বংসিণী। কিন্তু বলাই বাহুল্য, আমাদের পাপ এবং দারিদ্র্য আপনা থেকেই অন্তর্হিত হবে না, এর জন্য আমাদের কিছু পদক্ষেপ অবশ্য কর্তব্য। খুব গুরুতর কিছু নয়- এই পুণ্যতিথিতে গঙ্গাস্নানেই যাবতীয় শুদ্ধি, মুক্তি এবং প্রাপ্তির দ্বার উদঘাটিত হয়ে যাবে। জ্যোতিষাচার্য শুভম তিওয়ারি অন্তত সেরকম-ই বলছেন, জানাচ্ছেন যে গঙ্গাস্নান ব্যতীত আর কোনও বিকল্প নেই আমাদের কাছে।
কিন্তু গঙ্গাস্নানই বা কেন?
আসলে, এই নদীর জন্ম সাক্ষাৎ শ্রীবিষ্ণুর পদকমলে। আবার, আজ যাঁর জন্মতিথি, সেই ভগবান বুদ্ধও বিষ্ণুর দশাবতারের তালিকাভুক্ত। ফলে, এই তিথিতে গঙ্গাস্নান মাহাত্ম্যদায়ক। এছাড়া গ্রহণের দিনে গঙ্গাস্নানে শুদ্ধির বিধান তো সনাতন, হিন্দুমাত্রই এই বিষয়ে অবগত। ফলে, ঋষিকেশের ত্রিবেণী ঘাট, যেখানে গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীর ধারা একত্রিত হয়ে নিত্য পাপীর তারণ করে, সেখানে স্নান করলে সর্ববাঞ্ছা অবশ্য পূরণ হবে।
এ ছাড়া আরও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে-
*স্নানান্তে দান, যত সামান্যই হোক, অবশ্য কর্তব্য।
*আজকের জন্য হিংসা ত্যাগ করতে হবে।
*সম্ভব হলে বন্দী পাখিদের মুক্ত করতে হবে।