জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বৃষ, মিথুন, কন্যা, তুলা, মকর এবং কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা নীলকান্তমণি ধারণ করতে পারেন। শনিদেব যাঁদের রাশির অধিপতি তাঁরা নীলা ধারণ করতে পারেন। কিন্তু যেসব রাশির জাতকদের শনিদেবের সঙ্গে শত্রুতা রয়েছে, তাঁদের নীলা পরা নিষিদ্ধ। যেমন মেষ, বৃশ্চিক, কর্কট, সিংহ রাশির জাতক-জাতিকাদের নীলা পরা এড়িয়ে চলা উচিত।
আরও পড়ুন- শহরের বায়ু দূষণ আটকাতে নজরে পূর্ব কলকাতার জলাভূমি
advertisement
যদি শনিদেব কারও ভাগ্যচক্রে পঞ্চম, নবম ও দশম ঘরে উচ্চপদে থাকে তাহলে নীলা ধারণ করা যেতে পারে।
নীলা ধারণ করার উপকারিতা:
রত্নবিদ্যা অনুসারে, নীলা জাদুবিদ্যা, কালো জাদু, ভূতবিদ্যা ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে। এটি ধারণ করলে জাতক-জাতিকাদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে নীলা ধারণ করা ব্যক্তিরা সহজেই উন্নতি লাভ করেন। সেই সঙ্গে তাঁদের চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটে। এছাড়াও যাঁরা শনির ঢাইয়ার দ্বারা প্রভাবিত তাঁরা নীলা পরলে উপকৃত হবেন।
রত্ন শাস্ত্র অনুসারে, নীলকান্তমণি ব্যক্তির উপর তাৎক্ষণিক প্রভাব দেখায়। একই সময়ে ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিক সুফলও দেয়। তবে যাঁদের জন্মকুণ্ডলীতে শনি গ্রহ দুর্বল তাঁদের নীলা পরা উচিত নয়।
আরও পড়ুন- 'E' দিয়ে নাম যেমন বিরল, মানুষগুলোও কি তেমনই? জ্যোতিষ কী বলছে আপনাদের নিয়ে?
পরিধান পদ্ধতি:
রত্নশাস্ত্র অনুসারে, একজন ব্যক্তির ৫.১৫ থেকে ৭.১৫ রতির নীলা ধারণ করা উচিত। নীলা পঞ্চধাতুতে পরা ভাল। ধারণ করার ক্ষেত্রে নীলা শনিবার বা সন্ধ্যায় শনির নক্ষত্রে পরা যেতে পারে। এর জন্য গঙ্গাজল, দুধ, জাফরান এবং মধুর মিশ্রণে আংটিটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে শনিদেবের পূজা করতে হবে। এবার দ্রবণ থেকে আংটিটি সরিয়ে গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এর পর নীলা পরিধান করতে হবে।
এছাড়াও নীলা পরার পরে শনি গ্রহ সম্পর্কিত দান-ধ্যান করা উচিত। কোনও ব্রাহ্মণকে কোনও দ্রব্য জোড়া হিসাবে দান করতে হবে। এতে ধারণকারী নীলার পূর্ণ ফল পাবেন।