এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠ শাখায় দুর্ভোগের বড় আশঙ্কা, লোকনাথের জন্মদিনে কচুয়ার জন্য বেশি ট্রেন কখন?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ৭ সেপ্টেম্বরের কিছুটা পড়েছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ২০ ভাদ্র। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল বৃহস্পতি এবং এই অষ্টমী তিথি থাকবে ৭ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা ০২ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথি।
advertisement
আরও পড়ুন: যাত্রী নিরাপত্তায় লোকাল ট্রেনের স্টেশন গুলিতে বসছে সিসিটিভি ক্যামেরা
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৭ সেপ্টেম্বর সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ৩৬ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ৫৬ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ২৬ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা ৪২ মিনিটে।
এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথির নক্ষত্র হল রোহিণী। ৭ সেপ্টেম্বর, দুপুর ৩টে ১৬ মিনিট পর্যন্ত রোহিণী নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে মৃগশিরা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন সিংহ রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন বৃষ রাশিতে ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখ রাত ১১টা ১২ মিনিট পর্যন্ত, এর পরে গমন করবেন মিথুন রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৭ সেপ্টেম্বর মাহেন্দ্রযোগ পড়েছে ভোর ৫টা ৩৬ মিনিট – সকাল ৭টা ১৫ মিনিট, সকাল ১০টা ৩২ মিনিট – দুপুর ১টা ০০ মিনিট কালীন সময়ে। অমৃতযোগ ৭ সেপ্টেম্বর পড়েনি। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৭ সেপ্টেম্বর রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে দুপুর ২টো ৫১ মিনিট – বিকেল ৪টে ২৪ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।