এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
আরও পড়ুন: বিগ বস-এর ঘরে ঢুকেই মণীষাকে চুমু! মহেশ ভাটের কাণ্ড ঘিরে তোলপাড়
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ৩ অগাস্টের কিছুটা পড়েছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ১৭ শ্রাবণ। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল বৃহস্পতি এবং এই দ্বিতীয়া তিথি থাকবে ৩ অগাস্ট সন্ধ্যা ৭টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের তৃতীয়া তিথি।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রাইভেট টিউশন করছেন স্কুল শিক্ষকরা? নামের তালিকা তৈরি! বড়সড় তদন্তে নামছে রাজ্য
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৩ অগাস্ট সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ২৪ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ২৪ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ৩ অগাস্ট রাত ৮টা ০৪ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ৪ অগাস্ট সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে।
এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয়া তিথির নক্ষত্র হল ধনিষ্ঠা। ৩ অগাস্ট, দুপুর ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ধনিষ্ঠা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে শতভিষা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন কর্কট রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন কুম্ভ রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৩ অগাস্ট মাহেন্দ্রযোগ পড়েছে ভোর ৫টা ২৪ মিনিট – সকাল ৭টা ০৮ মিনিট, সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট – দুপুর ১টা ১২ মিনিট কালীন সময়ে। অমৃতযোগ ৩ অগাস্ট পড়েনি। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৩ অগাস্ট রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে ভোর ৫টা ২৪ মিনিট – সকাল ৭টা ০২ মিনিট, বিকেল ৪টে ৪৭ মিনিট – সন্ধ্যা ৬টা ২৪ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।
