TRENDING:

Astrology| Solar Eclipse 2023|| সূর্যগ্রহণে হনুমানজির আরাধনার আর 'এই' কাজ অবশ্যই করুন, কুপ্রভাব ছুঁতে পারবে না

Last Updated:

Astrology: হনুমানজি অর্থাৎ বজরংবলীর পুজো করা বেশ কার্যকর হবে। গ্রহণের সময় লালমুখো বানরদের খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দুর্গাপুর: বৈশাখের অমাবস্যায় বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ। জ্যোতিষ শাস্ত্র বলছে এই গ্রহণের ফলে মঙ্গল এবং বুধের খুব অশুভ একটি যোগ তৈরি হবে। অশ্বিনী নক্ষত্রে হবে এই গ্রহণ। গ্রহণ শুরু হবে বৃহস্পতিবার সকাল ৭ঃ০৪ মিনিট থেকে, শেষ হবে ১২ঃ৩৯ মিনিটে। যদিও সকাল ৭ঃ০৪ মিনিটের ১২ ঘণ্টা আগে থেকে শুরু হয়ে যাবে গ্রহণের সূতককাল। গ্রহণ মহাকাশ বিজ্ঞানের বিষয় হলেও, জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে বা ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্রে গ্রহণের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।
advertisement

বছরের প্রথম এই সূর্য গ্রহণের প্রভাব সব রাশিতে কম বেশি পড়বে বলে মনে করছে জ্যোতিষমহল। বেশ কিছু রাশির জাতকদের সাবধান থাকতে বলা হয়েছে। দীর্ঘ ১৯ বছর পর অশ্বিনী নক্ষত্রে এই সূর্য গ্রহণ হবে। গ্রহণের প্রভাব থেকে বাঁচতে নানা রকম পন্থা বাতলে দিয়েছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা।

তবে সব রাশির জন্য বশিষ্ঠ আচার্য শাস্ত্রী বাতলে দিয়েছেন একটি উপায়। গ্রহণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা পেতে এই উপায়ে অবলম্বন করার উপদেশ দিয়েছেন তিনি। বশিষ্ঠ আচার্য শাস্ত্রী জানিয়েছেন, গ্রহণের কুপ্রভাব থেকে রক্ষা পেতে সমস্ত রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য হনুমানজি অর্থাৎ বজরংবলীর পুজো করা বেশ কার্যকর হবে। গ্রহণের সময় লালমুখো বানরদের খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে গ্রহণ চলাকালীন যতবার সম্ভব হনুমান চালিশা পাঠ করতে বলেছেন এই জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ। তিনি জানিয়েছেন চলতি বছরের এই গ্রহণ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এই গ্রহণ বিজ্ঞানী মহলে হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ বলা হচ্ছে। তিন রকম ভাবে এই গ্রহণ দেখতে পাওয়া যাবে।

advertisement

মেষ রাশি এবং অশ্বিনী নক্ষত্রে হবে এই গ্রহণ। ফলে মেষ রাশির ক্ষেত্রে ভালই কুপ্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জ্যোতিষ মতে গ্রহণের সময় মঙ্গল মিথুনে এবং বুধ মেষ রাশিতে থাকবে। যার ফলে তৈরি হচ্ছে অশুভ যোগ। সূর্যগ্রহণের অশুভ যোগ থেকে সমস্ত রাশি জাতির জাতিকাদের সাবধান থাকতে হবে। তবে এই সময় গ্রহণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এড়াতে হনুমানজির পুজো করার উপদেশ দিয়েছেন তিনি।

advertisement

কিন্তু কেন হনুমানজির পুজোর নিদান দিয়েছেন বৈশিষ্ট আচার্য শাস্ত্রী? তিনি জানিয়েছেন, সূর্যদেবের প্রিয় পাত্র পবন পুত্র হনুমান। অঞ্জনি পুত্র ছোট বয়সে সূর্যদেবকেই গ্রাস করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তার কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করেছেন হনুমানজি। রামভক্ত হনুমানকে দেবাদিদেব মহাদেবের ১১ তম অবতার বলা হয়। সমস্ত দেব দেবীর আশীর্বাদে তিনি অষ্টসিদ্ধি এবং নব নিধির দাতা। বিষ্ণু অবতার রামচন্দ্রের কাছে থেকে তিনি চিরঞ্জীবী হওয়ার বরদান পেয়েছিলেন। অনেকেই বজরংবলিকে কলির রক্ষাকর্তা বলেন। অনেকেই বলেন, হনুমানজি নাকি লিভিং গড। ভক্তিভরে তাকে ডাকলে, বিভিন্ন সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

advertisement

অন্যদিকে হনুমানজির অপর নাম সংকটমোচন। আবার তিনি বরদান লাভের জন্য তিনটি কূল অর্থাৎ দেবকূল, জীবকূল ও প্রেতকূলে বিরাজ করতে পারেন। ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে রক্ষা করতে পারেন নিজের ভক্তকে। হনুমান চালিশা পাঠ করলে মুক্তি পাওয়া যায় বিভিন্ন সংকট থেকে। তাই গ্রহণের সময় যেহেতু নেতিবাচিক শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পায়, তাই গ্রহণের কুপ্রভাব থেকে বাঁচতে হনুমানজির পুজো করার নিদান দিয়েছেন এই জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ।

advertisement

আবার রাবণ যখন ছলচাতুরিতে নব গ্রহকে বন্দি বানিয়েছিলেন নিজের পুত্র মেঘনাদকে রক্ষা করতে, তখন সমস্ত গ্রহকে রক্ষা করতে ত্রাতা রূপে হাজির হয়েছিলেন হনুমানজি। ফলে নবগ্রহের আশীর্বাদ রয়েছে হনুমানজির উপর। সেই আশীর্বাদের কৃপায় রক্ষা পান তার ভক্তরাও। যেহেতু সূর্য গ্রহণের সময় গ্রহগুলির উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে, তাই সেই প্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করতেও বজরংবলীর আরাধনা যথেষ্ট কার্যকরী বলে জানিয়েছেন বশিষ্ট আচার্য শাস্ত্রী। পাশাপাশি গ্রহণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচতে সমস্ত রাশির জাতক জাতিকাদের তিনি যতবার সম্ভব হনুমান চল্লিশা পাঠ করার নিদান দিয়েছেন।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
নদী নাকি শুকিয়ে যাওয়া জমি ধরতে পারবেন! ইছামতীর প্রাণ ফেরাতে দারুণ উদ্যোগ
আরও দেখুন

Nayan Ghosh

বাংলা খবর/ খবর/জ্যোতিষকাহন/
Astrology| Solar Eclipse 2023|| সূর্যগ্রহণে হনুমানজির আরাধনার আর 'এই' কাজ অবশ্যই করুন, কুপ্রভাব ছুঁতে পারবে না
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল