মিথ: সমস্ত ক্রিস্টাল অথবা সেমি-প্রেশাস স্টোন সাধারণত প্রাকৃতিক হয়।
সত্য: বেশিরভাগ পাথরই ল্যাবে তৈরি অথবা এর রঙ, স্বচ্ছতা এবং আয়ু বাড়াতে ল্যাবে প্রক্রিয়া করা হয়। কিছু বিক্রেতা বিষয়টি স্পষ্ট করে দেন, তো কেউ কেউ আবার করে না। তাই সব সময় যাচাই করতে হবে।
মিথ: মূল্যবান পাথর সব সময় খাঁটি।
সত্য: পাথর খাঁটি কি না, তার গ্যারান্টি দেয় না দাম। কিছু কিছু বিক্রেতা সিন্থেটিক স্টোনের জন্য দাম বাড়িয়ে রাখে। তাই গবেষণা করে বিশ্বস্ত সূত্র থেকেই তা কেনা উচিত।
advertisement
মিথ: বড় পাথর মানেই ভাল। আসলে বড় পাথরের বেশি মেটাফিজিক্যাল উপাদান থাকে।
সত্য: কোনও ক্রিস্টালের এনার্জি এর আকৃতি দেখে বোঝা যায় না। ছোট এবং উচ্চ মানের ক্রিস্টাল বড় পাথরের মতোই কার্যকর।
মিথ: ক্রিস্টাল শরীরে ধারণ করার সঙ্গে সঙ্গেই তা কাজ করতে শুরু করে।
সত্য: ক্রিস্টাল আসলে এনার্জি ব্যালেন্স করে। এটি কাজ করতে বেশ সময় লাগে। তাই নিজেদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
মিথ: গাঢ় রঙের পাথর নেগেটিভ। ওবসিডিয়ান, ওনিক্স এবং ব্ল্যাক ট্যুর্ম্যালিনের মতো পাথরে থাকে ক্ষতিকর এনার্জি।
সত্য: গাঢ় রঙের পাথর প্রতিরক্ষামূলক। নেগেটিভ এনার্জি শোষণ করে তা স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর একমাত্র প্রাণী, যার মৃত্যু নেই! বলুন তো কে? নামটা শোনামাত্রই তাজ্জব হয়ে যাবেন নিশ্চিত!
মিথ: চাঁদের আলোয় সমস্ত ক্রিস্টাল পরিষ্কার করা উচিত।
সত্য: চাঁদের আলো এবং জল কিছু ক্রিস্টালের ক্ষেত্রে কার্যকর। কিন্তু সেলেনাইট অথবা পাইরাইটের মতো অন্য পাথর কিন্তু জলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। স্মাজিং, সাউন্ড ক্লিনজিং অথবা পিঙ্ক সল্টের মতো বিকল্পও কাজ করে।
মিথ: বার্থস্টোনই একমাত্র পাথর, যা আমাদের জন্য কাজ করে। অর্থাৎ এই সমস্ত পাথরেরই হিলিং বেনিফিট থাকে।
সত্য: বার্থস্টোনের পরম্পরাগত তাৎপর্য রয়েছে। আমাদের এনার্জির সঙ্গে মিল রয়েছে, এমন পাথরও উপযোগী হতে পারে।
মিথ: ক্রিস্টাল ভাঙে না। আসলে ভাঙা ক্রিস্টাল দুর্ভাগ্য অথবা ব্যর্থতা আনে।
সত্য: ক্রিস্টাল প্রাকৃতিক উপাদান। যা চাপের ফলে ভেঙে যেতে পারে। তবে আধ্যাত্মিকতার দিক থেকে কিছু মানুষের বিশ্বাস, ভাঙা ক্রিস্টাল নিজের উদ্দেশ্য পূরণ করেছে।
মিথ: সবুজ পাথর সম্পদ ভাগ্য নিয়ে আসে।
সত্য: সবুজ পাথর প্রাচুর্যের প্রতীক। কিন্তু সম্পদ যে আসবে, তা নিশ্চিত নয়। এই পাথর উত্তেজনা কমানোর মতো কাজও করে।
মিথ: সিন্থেটিক স্টোন বা ল্যাবে তৈরি স্টোনের কোনও এনার্জি নেই।
সত্য: সিন্থেটিক স্টোন মানুষের বানানো। তবে মনে করা হয় যে, প্রাকৃতিক ক্রিস্টালের মতো একই এনার্জেটিক ভাইব্রেশন বহন করে এই ধরনের স্টোন।