ব্যাপারটা অনেকটা রাশি মিলিয়ে জোটক খোঁজার মতোই। তফাতের মধ্যে এখানে কাজ করবে জন্মতারিখ। দেখে নেওয়া যাক, সংখ্যাতত্ত্ব মতে যাঁদের সংখ্যা ২, তাঁদের জন্য কোন সংখ্যা সঙ্গী/সঙ্গিনী রূপে আদর্শ হতে পারেন বা পারেন না।
আরও পড়ুন: চাকরি করেও উইকএন্ডে এই ব্যবসা শুরু করে আপনিও হতে পারেন কোটিপতি
এই জায়গায় এসে একটা কথা বলে রাখা উচিত। জন্মতারিখ অনুযায়ী হিসেব-নিকেশ করে সংখ্যাতত্ত্বের ক্ষেত্রে ভাগ্যগণনা করা হয়ে থাকে। যেমন ধরে নেওয়া যাক, কারও জন্মতারিখ ১১। এক্ষেত্রে তাঁর জন্মগত সংখ্যা হবে ১+১= ২। ফলে তাঁকে সংখ্যাতত্ত্বের #২-এর গণনা দেখতে হবে। অর্থাৎ নিজের জন্মতারিখের যোগফল হিসেব করে সংখ্যাতত্ত্বের গণনা করা হয়।
advertisement
এই হিসেবে সংখ্যা ২ রূপে গণ্য হবেন কারা? যাঁদের জন্ম ২, ১১, ২০ এবং ২৯ তারিখে। এই সংখ্যার অধিপতি গ্রহ স্বয়ং চন্দ্র। আর এ কারণেই সংখ্যা ১-এর জাতক-জাতিকারা, যাঁদের জন্ম ১, ১০, ১৯ এবং ২৮ তারিখে, তাঁরা সংখ্যা ২-এর পক্ষে উপযুক্ত। কেন?
আরও পড়ুন: রিজার্ভেশন হল কি না নিশ্চিত নয়? এই ৩ পদ্ধতিতে দেখে নিন পিএনআর স্টেটাস!
কেন না সংখ্যা ১-এর অধিপতি গ্রহ সূর্য। আর সংখ্যা ২-এর অধিপতি গ্রহ চন্দ্র। ফলে এই দুই সংখ্যার জাতক-জাতিকার মধ্যে দুর্দান্ত বোঝাপড়া থাকে। সেই জন্যেই -
- এই দুই সংখ্যার জাতক-জাতিকার সম্পর্ক থাকে দারুন। সে ব্যবসায়িকই হোক কিংবা ব্যক্তিগতই হোক। দুজনেই একে অপরের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহায়ক হয়ে ওঠে।
- সংখ্যা ১-এর জাতক-জাতিকারা সাধারণত একগুঁয়ে, আর অন্য দিকে সংখ্যা ২-এর জাতক-জাতিকারা অতীব নমনীয় হন। ফলে একসঙ্গে এঁরা ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন। ফলে যে কোনও অবস্থা সামলাতে পারেন এঁরা।
- ব্যক্তিগত জীবনে এঁরা একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠতে পারেন।
- ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অথবা ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকরা সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী নিজেদের নামের যোগফল ২ করতে পারেন, এতে দুর্দান্ত ফল পাবেন তাঁরা।
- সংখ্যা ২-এর জাতিকারা স্বামীর জীবনে পিছনে থেকেই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন।
- এই দুই সংখ্যার জাতক-জাতিকাদের সব সময় ভগবান সূর্যের উদ্দেশ্যে জল নিবেদন করা উচিত। সেই সঙ্গে ভগবান চন্দ্রের মন্ত্রও জপ করতে হবে।
আবার, সংখ্যা ৩, যাঁদের জন্ম ৩, ১২, ২১ এবং ৩০ তারিখে, তাঁরা সংখ্যা ২-এর পক্ষে তেমন উপযুক্ত সঙ্গী/সঙ্গিনী হয়ে উঠতে পারেন না। এই সংখ্যার অধিপতি গ্রহ দেবতাদের গুরু বৃহস্পতি। ফলে-
- সংখ্যা ৩-এর জাতক-জাতিকারা অত্যন্ত নমনীয় স্বভাবের হয়ে থাকেন। আবার সংখ্যা ২-এর জাতক-জাতিকারাও স্বভাবে নমনীয় হয়ে থাকেন। ফলে উভয়ের জীবনেই নিরপেক্ষ প্রভাব থাকে।
- সংখ্যা ২-এর জাতক-জাতিকারা যোগাযোগের প্রতিনিধিত্ব করেন, আবার সংখ্যা ৩-এর জাতক-জাতিকারা আবার সৃজনশীলতার প্রতিনিধিত্ব করেন। ফলে একসঙ্গে মিলে এঁদের গড়পড়তা অভিব্যক্তি থাকে।
- সংখ্যা ৩-এর জাতক-জাতিকারা আবার সংখ্যা ২-এর জাতক-জাতিকাদের জন্য জ্ঞানের উৎস হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রী, খেলোয়াড়, শিল্পী, লেখক-লেখিকা, জ্যোতিষ বিশারদ এবং ডাক্তারদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য।
- সংখ্যা ২-এর জাতক-জাতিকাদের তাই পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে তাঁরা নামের যোগফল হিসেবে সংখ্যা ৩ এড়িয়ে চলেন। কারণ এর প্রভাব খুবই স্বল্প হয়।
- আবার এন্টারটেনমেন্টের ক্ষেত্রে এঁরা একে অপরের ভাল বন্ধু হয়ে উঠতে পারেন। আবার সামাজিক ক্ষেত্রে এবং কলেজ জীবনেও এঁদের মধ্যে ভাল সম্পর্ক তৈরি হতে পারে।
- আসলে উভয় সংখ্যার জাতক-জাতিকাই স্বভাবে কেয়ারিং হয়ে থাকেন, তবে আচরণগত দিক থেকে উভয়েই আবার প্রতিযোগিতামূলক হন।