এখনও পর্যন্ত লেপার্ডের আক্রমণে দুইজন গ্ৰামবাসী আহত হয়েছেন। তার মধ্যে একজন মহিলা রয়েছেন।তার ঘাড়,হাতে ও পায়ে আঘাত লেগেছে। ছয় জন বনকর্মী আহত হয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর,একজন বনকর্মীর মুখে গুরুতর আঘাত করেছে লেপার্ডটি। তার একচোখের দৃষ্টিশক্তি না থাকার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।আহতদের আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। বাকি পাঁচ বনকর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
advertisement
আরও পড়ুন - প্রবল বর্ষণেও থেমে নেই হাতির হানা, বক্সার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ২হাতির তাণ্ডব,আতঙ্ক গ্রামে
সন্ধ্যা নেমে এলেও লেপার্ডটিকে খাঁচাবন্দী করা যায়নি বলে খবর। তবুও সার্চ লাইট নিয়ে তৈরী বনকর্মীরা। এলাকাবাসীদের লেপার্ডের আশ্রয় নেওয়া ঝোঁপের ধারেকাছে যেতে বারণ করছেন বনকর্মীরা। লেপার্ডটিকে খাঁচাবন্দী না করা গেলে এলাকাবাসীদের প্রাণ সংশয় রয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা লেপার্ডটি তাণ্ডব চালাবে এরপর এলাকায়। শিশুদের নিয়ে সবচাইতে ভয় বেশি স্থানীয়দের।কারণ-ছোটো শিশুদের ওপর বেশি আক্রমণ চালায় লেপার্ড।
আহত বনকর্মী বাদে বাকি বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। বড় জাল দিয়ে ঘেরা হয়েছে লেপার্ডের আশ্রয় নেওয়া ঝোঁপটি। বনকর্মীদের আশা আজ রাতের মধ্যে লেপার্ডটিকে কাবু করা সম্ভব হবে।যতক্ষণ না পর্যন্ত লেপার্ডটিকে খাঁচাবন্দী করা যাচ্ছে ততক্ষণ বনকর্মীরা এলাকা ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। লেপার্ডটি যে স্থানে রয়েছে সেই এলাকাটি খালি রাখতে অনুরোধ করা হচ্ছে বনকর্মীদের তরফে।
আরও পড়ুন - রোজ রাত বাড়লেই হাতির হানা! আতঙ্কে ঘুম উড়েছে আলিপুরদুয়ারবাসীর
সম্ভবত বেশি মানুষজন দেখে উত্তেজিত হয়ে আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে লেপার্ডটি। যদিও বেশ কিছুমাস ধরে হাতির হানার ঘটনা শোনা গেলেও, লেপার্ডের হানার বিষয়টি শোনা যাচ্ছিল না আলিপুরদুয়ার জেলায়। এদিন লেপার্ডের হানার ঘটনা সামনে আসতেই আতঙ্কিত বনকর্মীরাও।এই লেপার্ডটিকে কাবু করা না গেলে আরও অনেক এলাকাবাসীদের আহত করবে লেপার্ডটি।
বনকর্মীদের তরফে রাত নামলেই প্রত্যেক এলাকাবাসীদের ঘরে ঢুকে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। বাড়ির দরজা, জানালা বন্ধ করে রাখতে বলা হয়েছে। শিশুদের ওপর বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে। বাড়ির গবাদি পশুদের আচমকা আওয়াজ শোনা গেলে বনকর্মীদের জানাতে বলা হয়েছে।
Annanya Dey