কালচিনির প্রতিটি প্রান্তে স্বাস্থ্যকর্মী ও গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা পৌঁছে যাচ্ছেন। কোথাও জমা জল রয়েছে কি না তা দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি স্প্রে করার কাজ চলছে। এই বিষয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুভাষ কর্মকার জানান, 'ডেঙ্গি দমনে কাজ চলছে জোরকদমে। যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগ বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। হাসপাতালে ডেঙ্গি রোগী নেই।বাড়িতে রেখেই আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে।'
advertisement
আরও পড়ুনঃ কুয়াশা চিরে টয়ট্রেনে প্রথমবার রাত্রিকালীন সফর, দার্জিলিংয়ের নয়া উদ্যোগ শিহরন জাগাবে
কালচিনি ব্লকের বিভিন্ন চা বলয়ে ডেঙ্গি রুখতে মঙ্গলবার থেকেই চা শ্রমিকদের সচেতন করা হয় ও চা বলয়ের শ্রমিক মহল্লায় স্প্রে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার গ্ৰামীণ সম্পদকর্মীরা ও ব্লক প্রশাসনের কর্মীরা শ্রমিক মহল্লায় ঘুরে শ্রমিকদের ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন করায় এ ছাড়া কোথাও জল জমা আছে কিনা তা পরীক্ষা করে। তার আগে কালচিনি ব্লক প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছিল, কালচিনি চা বলয়ে ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিস মিললে গ্ৰামীণ সম্পদ কর্মীদের করা হতে পারে বহিস্কার।
আরও পড়ুনঃ পর্যটকদের জন্য দারুণ খবর! মাত্র ১০৫ টাকাতেই পৌঁছন দার্জিলিং, কীভাবে জানুন
কালচিনি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠকে করা বার্তা দেন বিডিও। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা যাতে না বাড়ে তার জন্য করা ভাষায় সম্পদকর্মীদের সচেতন করেন কালচিনি বিডিও ও ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। বৈঠকে তারা সাফ জানিয়ে দেন, 'এলাকার প্রতিটি মানুষের বাড়িতে যেতে হবে, কোথাও যাতে জমা জল না থাকে এবং ডেঙ্গি নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে। যাতে কোনওভাবেই ডেঙ্গি কালচিনিতে বিস্তার লাভ করতে না পারে।'
এ ছাড়াও বৈঠকে কর্মীদের জানানো হয়, 'কোনও এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিস মিললে সে এলাকার গ্ৰামীণ সম্পদকর্মীদের শোকজ করা হবে এবং উপযুক্ত জবাব না পেলে তাদের বহিস্কার করা হবে।' কালচিনি ব্লক যাতে ফের ডেঙ্গির আঁতুরঘরে পরিণত না হয়।
Annanya Dey