JOIN US

আপনার শহর নির্বাচন করুন

    আলিপুরদুয়ার
    বাঁকুড়া
    বীরভূম
    কোচবিহার
    দক্ষিণ দিনাজপুর
    দার্জিলিং
    হুগলি
    হাওড়া
    জলপাইগুড়ি
    মালদহ
    মুর্শিদাবাদ
    নদিয়া
    উত্তর ২৪ পরগণা
    পূর্ব বর্ধমান
    পূর্ব মেদিনীপুর
    পুরুলিয়া
    শিলিগুড়ি
    দক্ষিণ ২৪ পরগনা
    উত্তর দিনাজপুর
    পশ্চিম বর্ধমান
    পশ্চিম মেদিনীপুর
    হোম / খবর / Uncategorized / একটা বাড়ি আর কিছু রংচটা ক্যানভাস

    একটা বাড়ি আর কিছু রংচটা ক্যানভাস

    সদর দরজায় দাঁড়াতেই চোখ গেল ওপরের অলিন্দের দিকে ৷ গ্রীষ্মের দুপুরের প্রখর তাপে দু’হাট করে খোলা সদর দরজা যেন উষ্ণতম অভিনন্দন জানাচ্ছে অপরিচিত আমাকে ৷ আশপাশে কোনও হৃদস্পন্দনের আভাস পাওয়া গেল না, চারিদিক থমথমে ৷ ঢুকতেই উন্মুক্ত চাতাল ও তার চারপাশে উঁচু উঁচু থাম চোখে পড়ল ৷ সেই থামের আড়ালে মুখ গুঁজে পড়ে রয়েছে সারিবদ্ধ ঘর, যেন কত দিনের স্তূপাকৃত অভিমানের জেরে অন্ধকারে মুখ গুঁজে পড়ে রয়েছে ৷

    বিজ্ঞাপন
    সংশ্লিষ্ট ভিডিও
    বিজ্ঞাপন
    News18 বাংলা আরও খবর পড়তে ফলো করুন

    সদর দরজায় দাঁড়াতেই চোখ গেল ওপরের অলিন্দের দিকে ৷ গ্রীষ্মের দুপুরের প্রখর তাপে দু’হাট করে খোলা সদর দরজা যেন উষ্ণতম অভিনন্দন জানাচ্ছে অপরিচিত আমাকে ৷ আশপাশে কোনও হৃদস্পন্দনের আভাস পাওয়া গেল না, চারিদিক থমথমে ৷ ঢুকতেই উন্মুক্ত চাতাল ও তার চারপাশে উঁচু উঁচু থাম চোখে পড়ল ৷ সেই থামের আড়ালে মুখ গুঁজে পড়ে রয়েছে সারিবদ্ধ ঘর, যেন কত দিনের স্তূপাকৃত অভিমানের জেরে অন্ধকারে মুখ গুঁজে পড়ে রয়েছে ৷

    উত্তর কলকাতার সরু এক গলির মধ্যে অবস্থিত এই নিঃসঙ্গ নিস্তব্ধ তিনতলা বাড়িটি, যেন গ্রীষ্মের গনগনে তাপে চাপা গলায় কাঁদে ৷ সে কান্না কারোর কানে আসে না ৷ বাড়িটির চাতালে প্রবেশ করতেই মনে হল অতীতে ফেলে আসা রঙিন উৎসব ও বনেদিয়ানার ছবি যেন চোখের সামনে ভেসে উঠল ৷ শঙ্খধ্বনি, উৎসব, বিয়ে-পার্বণে সুন্দরী রমণীদের লাল পেড়ে শাড়ি পরে আনাগোনা, আরামকেদারায় বসে রাশভারি গলায় গৃহকর্তার হুকুম জারি করা - সমস্ত কিছু ৷ কিন্তু নিমেষের মধ্যে সে দৃশ্য প্রখর তাপে মিলিয়ে গিয়ে সামনে পড়ে রইল একরাশ ধুলো আর ঝুলে ভরা বারান্দা ৷ ঝকঝকে,সাজানো আসবাব মুহূর্তের মধ্যে ভাঙাচোরা আরাম-কেদারা, ছেঁড়া পর্দা ও রঙচটা দেওয়ালে পরিণত হল ৷ চাতাল ছেড়ে বাঁদিকে ঘুরে অন্ধকার সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতেই সামনে এল চৌকাকৃতি রেলিং ঘেরা লম্বা বারান্দা ৷ বারান্দার পাশে জীর্ণ,জংধরা তালায় বন্দি কিছু ঘর ৷ আসবাব আর দামি শো-পিসগুলো আজ পরিত্যক্ত ৷ অবহেলিত অবস্থায় এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ৷ যখন রাজা ছিল তাদের কদর ছিল, এখন রাজা নেই তাদের কদরও নেই ৷ এই সকল দামী আসবাব যাতে একসময় জমজমাট আড্ডা বসত বা যেসব জিনিসকে exibit করে আভিজাত্যের বড়াই করতেন জমিদাররা- তা এখন সব মৃতপ্রায় ৷ রাজকীয় সোফা, ফ্রেমে বাঁধানো ছবি, আলমারি, মার্বেলের টেবিল, ফুলদানি সব এখন জঞ্জালের মতো স্তূপাকৃতি হয়ে পড়ে রয়েছে বারান্দায় ৷

    সম্পর্কিত খবর

    বারান্দা ধরে সোজা চলেছি অথচ কারোর কোনও সাড়া নেই, দেখা নেই ৷ নিষ্প্রাণ, নিষ্পলকভাবে পুরো বাড়িটা যেন চেয়ে রয়েছে আমার দিকে, যেন কতদিন বাদে কোনও মানুষের পা পড়ল এই বাড়িতে ৷ বহুদিনের প্রতীক্ষার অবসান- কেউ তো পা রাখল এই নিঝুম পুরীতে ৷ বারান্দার তালাবন্ধ ঘরগুলো পেরিয়ে সোজা যেতেই বাধা পেলাম চৌকাঠে ৷ চৌকাঠ পেরিয়ে এগোতেই দেখি অন্দরমহলে ঢোকার সিঁড়ি ৷ অন্ধকার এই সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামতেও বুক ছ্যাঁত করে উঠবে ৷ নীচেও পরপর তালাবন্ধ ঘর ৷ হাঁটতে হাঁটতে এত দূর এসেও কোনও প্রাণের সাড়া মিলল না ৷ রাস্তা শেষ হয়ে ধাক্কা খেলাম দেওয়ালে- একেবারে Dead End-এ ৷ বাঁদিকে ঘুরতেই সামনে দু-তিনটে ঘর, সব তালা বন্ধ ৷

    বিজ্ঞাপন

    সারা বাড়িটায় ঘুরতে ঘুরতে ভাবছিলাম এই বুঝি কারোর দেখা পেলাম, অন্তত কেউ একজন বেরিয়ে আমার অনধিকার প্রবেশের জবাব চাইবে ৷ কিন্তু না কেউই এল না ৷ আমিও ফিরে আসার জন্য আবার একতলায় নেমে এলাম ৷ হঠাৎ একটা খট করে শব্দ ৷ চমকে পিছনে ঘুরে তাকালাম ৷ কিন্তু কই, কেউ তো নেই! তারপর উপরে তাকিয়ে দেখলাম একটা পায়রা বাসা থেকে বেরিয়ে কড়িকাঠে বসেছে ৷ বুঝলাম শুধু এরাই আঁকড়ে রয়েছে এই বাড়িটাকে, আর কেউ নেই ৷ সদর দরজা দিয়ে বেরোনোর সময় শেষবারের মতো ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলাম বাড়িটাকে ৷ রেলিং ও বারান্দার অর্ধেকটার ওপর চড়চড়ে রোদ পড়ে ঝলসে দিচ্ছে বাড়িটাকে ৷ আলো-আঁধারির মধ্যে ডুবে থাকা নিঝুম পুরীতে যেন কারোর চাপা কান্নার আওয়াজ পেলাম ৷ মনে হল মনের ভ্রম ৷ কিন্তু তারা বোধহয় রোজই কাঁদে ৷ কোনও প্রাণের স্পন্দন পেলে ককিয়ে ওঠে শিশুর মতো ৷ নিষ্প্রাণ নিথর দেহে উষ্ণ প্রাণের স্পর্শের জন্য আবার শুরু হল তাদের প্রতীক্ষা ৷

    বিজ্ঞাপন
    সেরা ভিডিও
    • December 1, 2023, 9:15 pm IST বিদ্যুৎ বিলের নাম করে অ্যাকাউন্ট থেকে লাখ লাখ টাকা চুরি! আতঙ্কে পুলিশ-কর্মী!
    নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।

    ছবি

    লেটেস্ট খবর