Published by Rukmini Mazumder 07-12-2025
কর্কট রোগ অনেক ধরনের হয় এবং প্রতিটি আলাদা আলাদাভাবে শরীরের বিভিন্ন অংশে আক্রমণ করে। প্রতিটি ক্যানসারের উপসর্গও ভিন্ন। ইদানীং তরুণরাও এই ভয়ঙ্কর রোগের শিকার হচ্ছেন।
মেডিক্যাল জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’-এর তথ্য বলছে, ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যায় বিশ্বে তিন নম্বর জায়গায় রয়েছে ভারত। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর সমীক্ষা বলছে, প্রতি পাঁচ জন ক্যানসার আক্রান্তের মধ্যে তিন জনেরই মৃত্যু হয়।
ক্যানসারকে হারানোর প্রথম শর্তই হল সঠিক সময়ে ক্যানসার শনাক্ত করা। যত তাড়াতাড়ি ক্যানসারের উপসর্গ ধরা পড়বে, চিকিৎসায় ততটাই সাফল্য মেলার সম্ভাবনা থাকে। ক্যানসার যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে, তাহলে চিকিৎসা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। কিন্তু সমস্যা হল, মানুষ বেশিরভাগ সময়েই ক্যানসারের উপসর্গ ধরতে পারেন না, সাধারণ শরীর খারাপ ভেবে এড়িয়ে যান।
যেমন ধরুন কাশি। বেশিরভাগেই ধরে নেন, অ্যালার্জি, ঠান্ডা লাগা বা ঋতু পরিবর্তনের কারণে কাশি হচ্ছে। কিন্তু যদি সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে লাগাতার কাশতে থাকেন, বা ধীরে ধীরে কাশি বাড়তে থাকে,তবে সাবধান। এটি কিন্তু ফুসফুসের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
ফর্টিস হাসপাতাল-এর কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডাঃ মিহির গাঙ্গাখেডকার এমন আরও কয়েকটি উপসর্গের কথা জানান, যা কমবেশি সবাই-ই সাধারণ শরীর খারাপ বলে এড়িয়ে যান, কিন্তু সেগুলি ফুসফুসের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে–
অকারণে ওজন কমে যাওয়াও একটি উপসর্গ যা আমরা খুব সহজেই এড়িয়ে যাই। কিন্তু যদি খাবার বা ব্যায়ামের অভ্যাসে কোনও পরিবর্তন না থাকা সত্ত্বেও ওজন একটানা কমতে থাকে, তবে সাবধান। অবশ্যই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। এটি কিন্তু লাং-ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
ফুসফুসের ক্যানসারের আরেকটি লক্ষণ হল অবিরাম ক্লান্তি, যা কখনওই কমে না। যদি বিশ্রামের পরেও সবসময়ই শক্তিহীন ও অবসন্ন লাগে, তবে সতর্ক হন। যখন ফুসফুসের ক্যানসার শরীরে প্রভাব ফেলতে শুরু করে, তখন শরীর তা প্রতিরোধ করার জন্য প্রচুর শক্তি ব্যবহার করে, ফলে চরম ক্লান্তি ও অস্বস্তি অনুভূত হয়
শ্বাসকষ্টও অনেক সময় বিভ্রান্তিকর হতে পারে। হাঁফিয়ে ওঠা বা বুকে চাপ ধরার অনুভূতি আমরা ধরে নিই স্ট্রেস বা অ্যাৎজাম কারণের। কিন্তু যদি এই অনুভূতিগুলো বারবার হয় বা দীর্ঘসময় ধরে থাকে, তবে পরীক্ষা করানো জরুরি।