Published by Rukmini Mazumder 27-10-2025
সাধারণত শরীরে প্রবেশ করা পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ চর্বি শোষণ করতে পারে লিভার বা যকৃত। কিন্তু যখন এর থেকে বেশি পরিমাণ ফ্যাট লিভারে জমে, তখনই বিপত্তি! দেখা দেয় ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। সময় মতো চিকিৎসা না করালে হতে পারে ‘সিরোসিস অফ লিভার’ও।
অনেকটা সময় খালিপেটে থাকা, জাংক ফুড খাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, কম ঘুম, দেদার ওষুধ খাওয়া-সহ নানা কারণে ক্ষতি হচ্ছে লিভারের। সিরোসিস ভয়ঙ্কর রোগ! কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগ এত দেরিতে ধরা পড়ে যে, তখন পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। তখন আর কিছুই করার থাকে না।
লিভার সিরোসিসের ক্ষেত্রে শরীরে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?
পা ও গোড়ালিতে জ্বালা: পা ও গোড়ালিতে জ্বালা হলে সতর্ক হোন। অ্যালবুমিন প্রোটিনের উৎপাদন কমে গেলে এই রকম হয়। রক্তে এই তরল প্রোটিনের পরিমাণ কমে গেলে তা রক্তনালিকায় জমতে শুরু করে।
জন্ডিস: লিভার থেকে নিঃসৃত হয় বিলিরুবিন নামক তরল। এই তরলের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে জন্ডিস হয়। ঘন ঘন জন্ডিস লিভার সিরোসিসের লক্ষণ হতে পারে।
পেটের উপর দিকে ব্যথা– দীর্ঘ দিন ধরে লিভারের অসুখ থাকলে পেটে তরল জমতে পারে, পেট ফুলে যেতে পারে। সেখান থেকে পেটে ব্যথা হয়। লিভারে জল জমে আকারে বড় হয়ে গেলে তা আশপাশে থাকা অন্যান্য প্রত্যঙ্গকে চাপ দেয়, তখন ব্যথা হয়।
তলপেটে তরল জমা: দীর্ঘ দিনের লিভারের অসুখ থাকলে তলপেটে তরল জমতে পারে, দেখে মনে হবে পেট ফুলে আছে। হয়তো আপনার ওজন কম, কিন্তু ভুঁড়ি বাড়ছে, সেক্ষেত্রে সাবধান হন।
কালশিটে দাগ– শরীরে ঘন ঘন কালশিটে পড়ে? তা হলে সতর্ক হোন। লিভার পুরনো ও ক্ষতিগ্রস্ত রক্তের কোষগুলি ভাঙতে সাহায্য করে। লিভার অকেজো হতে শুরু করলে আর প্রয়োজন মতো প্রোটিন উৎপাদন করতে পারে না। তখন অল্পতেই কালশিটে পড়ে যায়।