মধু, কলার মতো ঘরোয়া টোটকায় পান নরম, তুলতুলে গোড়ালি

Published by  Rukmini Mazumder                   19-11-2025

শীত মানেই ফাটা গোড়ালি! দেখতে যেন বাজে লাগে, তেমনি ফাটা গোড়ালি খুব কষ্টদায়ক! শুরুতেই না যত্ন নিলে সমস্যা বাড়তে থাকে! ব্যথা হয়, রক্ত পড়ে, অনেকের আবার ক্ষতস্থানে পুঁজও জমা হয়। অনেকেই ফাটা গোড়ালির মোকাবিলায় ব্র্যান্ডেড ক্রিম-লোশন মাখেন

এতে যে খুব একটা লাভ হয়, তা নয়, উলটে গাদাগাদা টাকা খরচ হয়! কাজেই ভরসা রাখুন ঘরোয়া উপায়ে! খুব সহজ এবং সস্তার ৩ টোটকায় শীতেও গোড়ালি থাকবে মাখনের মতো নরম, তুলতুলে–

মধু– মধু হল প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক। মধু এবং গরম জল একসঙ্গে মিশিয়ে ফাটা গোড়ালিতে লাগিয়ে মোজা পরে নিন। মিনিট দশেক পরে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন-চার দিন এটি করলেই ফাটা গোড়ালি গায়েব।

কলা–একটা কলা ভাল করে চটকে গোড়ালির ফাটা অংশে লাগিয়ে রাখুন। কলার খোসা দিয়ে মিনিট পাঁচেক ফাটা অংশটি ঘষে নিন। খানিকক্ষণ মোজা পরে থেকে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’-তিন দিন করলে মাখনের মতো তুলতুলে হবে যাবে ফাটা গোড়ালি।

More Stories.

রান্নাঘরের ৪ উপকরণেই ঘাড় চকচক করবে, গায়েব সান-ট্যান

‘লিভার সিরোসিস’-এর আগে শরীর আর কোন ৪ ইঙ্গিত দেয়?

আঙুলের কোন লক্ষণ ক্যানসারের ইঙ্গিত দেয়?

মাউথওয়াশ– ১ ভাগ মাউথওয়াশের সঙ্গে ২ ভাগ জল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে ফাটা পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে পায়ের জীবাণু মরবে, ফাটা গোড়ালিও গায়েব হবে।

পা কেন ফাটে? শীতে হাওয়ায় আদ্রতা কম থাকে, ফলে আবআওয়ার পাশাপাশি ত্বকও শুষ্ক হয়ে পড়ে! এমনিতেই গোড়ালিতে অয়েল গ্ল্যান্ড খুব কম। শীতে এই গ্ল্যান্ডগুলি আরও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে, ফলে পা ফাটতে থাকে।

পায়ে বেশি প্রেশার পড়লেও পা ফাটতে থাকে। যাঁরা অনেক ক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করেন, তাঁদের পা ফাতার প্রবণতা বেশি। পাশাপাশি, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ইসাস্টিসিটি কমে যায়, ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, ফলে ফাটা গোড়ালির প্রবণতা বাড়ে।

সোরিয়াসিস, ফাংগাল ইনফেকশন, একজিমার মতো ত্বকের অসুখ থাকলে পা ফাটার প্রবণতা বাড়ে। শীতে ঢাকা জুতো পরুন। পা-খোলা জুতো-চটি পরলে গোড়ালি উন্মুক্ত থাকে, ফলে পা বেশি ফাটে।

পড়তে ক্লিক করুন