Published by Rukmini Mazumder 11-11-2025
শীত আসব-আসব করছে! দিনে গরম, রাতের দিকে ঠাণ্ডা! ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টা আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক! জ্বর, সর্দি-কাশি, বুকে কফ জমা লেগেই থাকে। ডাক্তারের দ্বারস্থ হলেই কড়া-কড়া অ্যান্টিবায়োটিক! কিন্তু মাথায় রাখবেন, অ্যান্টিবায়োটিকের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া প্রচুর
কাজেই, প্রথমেই অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে ঘরোয়া উপায়ে জ্বর, সর্দি-কাশির মোকাবিলা করুন, উত্তর প্রদেশের আলিগড় আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজের ডঃ পীযূষ মাহেশ্বরী জানালেন ৮ টি ঘরোয়া উপায়ের কথা–
মধু ও আদা– ডঃ পীযূষ মাহেশ্বরী জানান, সর্দি-কাশি, জ্বরের মোকাবিলায় মধু ও আদা কার্যকর। আদায় রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বেশিষ্ট্য যা শরীর থেকে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দুর করে। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা খুসখুসে কাশি দূর করে। আদার রস আর মধু গরম জলে মিশিয়ে খান, নিমেষে ঠান্ডা লাগা থেকে আরাম পাবেন।
তুলসি ও লবঙ্গ– তুলসিতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাংগাল বেশিষ্ট্য, লবঙ্গতে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য। তুলসি ও লবঙ্গ একসঙ্গে ফুটিয়ে দিনে ২-৩ বার খেলে গলার ব্যথা, কাশি ও সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাবেন। এই মিশ্রণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
লেবু ও আদার রস– উষ্ণ জলে লেবু ও আদার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, সর্দি-কাশি থেকে নিমেষে মুক্তি পাবেন। লেবুর রসে রয়েছে ভিটামিন সি যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, আলা গলার খুসখুসানি দূর করে, কাশি কমায়।
পেঁয়াজ- সমপরিমাণে পেঁয়াজের রস, লেবুর রস, মধু এবং জল একসঙ্গে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। এই মিশ্রণটা হালকা ঠাণ্ডা করে দিনে ৩-৪বার খান। কাঁচা পেঁয়াজও চিবিয়ে খেতে পারেন, সর্দি-কাশি দূর হবে।
হলুদ- হলুদে রয়েছে কারকুমিন যা বুক থেকে কফ, শ্লেষ্মা দূর করে, বুকের ব্যথা কমায়। হলুদের অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান গলা ব্যথা, বুকের ব্যথা দূর করে। এক গ্লাস হালকা গরম জলে এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতিদিন কুলকুচি করুন, আরাম পাবেন। এছাড়া এক গ্লাস দুধে অর্ধেক চা-চামচ হলুদগুঁড়ো মিশিয়ে ফোটান । ২ চা চামচ মধু ও সামান্য গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে মিশ্রণটি দিনে ২-৩ বার খান।
লেবু এবং মধু- লেবু জলে ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে খান। মধু শ্বাসযন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, বুক থেকে কফ দূর করে, গলা পরিষ্কার রাখে।