Published by Rukmini Mazumder 27-10-2025
ডায়াবেটিস– ক্রনিক কিডনি ডিজিজ-এর অন্যতম মূল কারণ হল ডায়াবেটিস। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে ডায়াবেটিক নেফরোপ্যাথি।
US Centers for Disease Control and Prevention (CDC)-এর গবেষণা বলছে, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এন্ড-স্টেজ কিডনির অসুখের মূল কারণ ছিল ডায়াবেটিস।
হাইপারটেনশন– ক্রনিক কিডনি ডিজিজ ও এন্ড স্টেজ রেনাল ডিজিজের দ্বিতীয় মূল কারণ হল হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ। ব্লাড প্রেশার বেশি থাকলে ধমনী ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে কিডনিতে ঠিকমতো রক্ত পৌঁছায় না, তখন কিডনি বিকল হতে থাকে
গ্লোমেরিউলোনেফরাইটিস–এই পরিস্থিতিতে কিডনিতে থাকা গ্লোমেরিউলিতে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। তখন কিডনি দূষিত পদার্থ, ইলেকট্রোলাইট ও তরল ঠিকমতো ছাঁকতে পারে না, যা ধীরে ধীরে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ-এর আকার নেয় এবং শেষপর্যন্ত দেখা দেয় কিডনি ফেলিওর।
পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ–এটি এক প্রকার জেনেটিক অসুখ যেখানে কিডনিতে সিস্ট তৈরি হয়। এই সিস্টগুলো তরলে ভরা থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সিস্টগুলো বাড়তে থাকে, দেখা দেয় ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, সেখান থেকে কিডনি ফেলিওর
ইউরিনারি ট্র্যাক্ট অবস্ট্রাকশন–যখন ইউরিনারি সিস্টেমের কোনও অংশ যেমন কিডনি, ইউরেটার বা ইউরেথরায় মূত্রের চলাচল ব্যহত হয়, তখন সেটিকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট অবস্ট্রাকশন।
চিকিৎসা না করালে এর থেকে হতে পারে হাইড্রোপেফরোসিস, যার থেকে কিডনি ফেলিওর হতে পারে।
নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের বেশি ব্যবহার— দীর্ঘসময় ধরে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের ব্যবহারে কিডনি ফেলিওর হতে পারে। যেমন NSAIDs( আইবুপ্রোফেন, ন্যাপরোক্সেন ও অন্যান্য ওভার দ্য কাউন্টার পেইনকিলার), অ্যামাইনোগ্লাইকোসাইড ও ভ্যানকোমাইসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক, সিসপ্লাটিন ও মেথোট্রিক্সেতের মতো কেমোথেরাপি এজেন্ট