ভাস্কর চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: প্রায় দুই কোটি বই নষ্ট হয়েছে। পুরোনো বইগুলিতে ধরেছে পোকা। জলে ভিজে নষ্ট হয়েছে পাতা। বই সংরক্ষণ থেকে শুরু করে ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে, ১১তম মহকুমা বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে এই বার্তাই দিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।
পশ্চিমবঙ্গ গ্রন্থাগার পরিষেবা অধিকার এবং জনশিক্ষা শিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা বিভাগের তত্ত্বাবধানে তথা স্থানীয় গ্রন্থাগার কৃত্যক, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ এলাকার আয়োজনে, ১১তম শিলিগুড়ি মহকুমা বইমেলার শুভ সূচনা হল। এইদিন শহরের বাঘাযতীন পার্ক ময়দানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শিলিগুড়ি মহকুমা বইমেলার সূচনা হয়। সেই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে একটি শোভাযাত্রার আয়োজনও করা হয়, যা শহরের শিলিগুড়ি কলেজের মাঠ থেকে শুরু করে শহরের কোর্টমোড়, কাছারি রোড, সফদর হাসমিচক, হিলকার্ট রোড হয়ে ঘুরপথে বাঘাযতীন পার্কে এসে উপস্থিত হয়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় গ্রন্থাগার কৃত্যকের সভাপতি তথা শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক শ্রীনিবাস ভেঙ্কাটরাও পাতিল।
এইদিন অনুষ্ঠানে নিউজ ১৮ লোকালকে সিদ্দিকুল্লা সাহেব বলেন, "অনেক জায়গায় দেখা গিয়েছে নৌকায় বই রাখা হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার চালু করলে সবাই বই পড়ার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও সবাইকে বইমেলায় আসতে উদ্যোগ নিতে হবে। বই কিনে পড়তে হবে। আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় বিভিন্ন গ্রামে গ্রন্থাগার চালু করব। গ্রন্থাগারগুলোর পরিকাঠামো ঠিক করে নিয়োগ শুরু করব। যে বইগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তা ডিজিটাল (digital) মাধ্যমে প্রকাশ করা যায় কি না, সেই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করব।"
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গ্রন্থাগার কৃত্যকের সদস্য ও সদস্যা দুলাল দত্ত, স্বপন দাস, অভিজিৎ পাল, শর্মিষ্ঠা চন্দ রায়, মাহফুজ আহমেদ, জনাব আব্দুল আজিজ আলামিন সহ যুগ্ম-সম্পাদক জয়ন্ত কর, সুপ্রকাশ রায়, নন্দীতা সিনহা ঘোষ সহ প্রমুখ।