স্যান্ট্রো গাড়ি চেপেই ঘুরলেন হেতমপুরের জগন্নাথ, বলরাম, শুভদ্রা বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের হেতমপুর গ্রামের রথ মানেই হল রাজবাড়ীর শতাব্দী প্রাচীন রথ। এই রথে চড়েন রাজবাড়ীর গৌরাঙ্গ মঠের জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা। কিন্তু গত বছর থেকে করোনার কারণে রথ বের না হওয়ায় স্যান্ট্রো গাড়িতে চাপিয়েই ঘোরানো হচ্ছে এই মন্দিরের দেব দেবীদের।
গত বছরের মতো এ বছরও তারাপীঠ পরিক্রমা করলেন না তারা মা গতবছর করোনা প্রকোপের কারণে তারাপীঠের তারা মাকে রথে চাপিয়ে তারাপীঠ পরিক্রমা করানো সম্ভব হয়নি। একইভাবে চলতি বছরও তারাপীঠ পরিক্রমা করানো সম্ভব হলো না। তবে তার ছবি নিয়ে কীর্তন সহকারে তারাপীঠ পরিক্রমা করলেন। তারা মায়ের তারাপীঠ পরিক্রমা সম্ভব না হওয়ায় মন খারাপ পূণ্যার্থীদের।
রাস্তায় নয়, রথের চাকা ঘুরলো দুবরাজপুরের রামকৃষ্ণ আশ্রম চত্ত্বরেই করোনা ভাইরাসের কথা মাথায় রেখে এবং সরকারী নির্দেশ মেনে দুবরাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম চত্বরেই ঘুরলো রথের চাকা। রথের দড়ি টেনে শুভ সূচনা করেন সংঘপতি স্বামী গৌড়ানন্দ মহারাজ। সঙ্গে ছিলেন দুবরাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষ সেবক স্বামী সত্য শিবানন্দ মহারাজ সহ অন্যান্য সন্ন্যাসীরা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দুবরাজপুর শহরের রাস্তায় রথ না বেরিয়ে শুধুমাত্র আশ্রম চত্বরেই রথ পরিক্রমা করলো।