ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধের কারণেই ধনকুবের ইলন মাস্ক মার্কিন প্রশাসনের থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, তা আবার এক বার স্পষ্ট হয়ে গেল! কেন্দ্রবিন্দু ট্রাম্পের জনকল্যাণমূলক বিল, যা ‘বড় সুন্দর বিল’ নামেও পরিচিত। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই আইন নিয়ে আগেও সমালোচনা শোনা গিয়েছে টেসলা-কর্তার কণ্ঠে। তবে মঙ্গলবার ওই আইন নিয়ে আরও এক বার মাস্ক এবং ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে বাগ্যুদ্ধ দেখা গেল, যার অনেকটাই প্রকাশ্যে!
ট্রাম্পের এই নয়া অস্ত্রের সমালোচনা করেন টেসলার সিইও। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পোস্টে মাস্ক জানান, এই আইনের জন্য ব্যয় করা ‘অত্যন্ত জঘন্য কাজ’! তাঁর মতে, ‘‘যাঁরা এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, এটা তাঁদের লজ্জা। তাঁরা জানেন যে তাঁরা ভুল করেছেন।’’ এখানেই থামেননি মাস্ক। এর পরেই আরও একটি পোস্ট করেন তিনি। তাতে দাবি করেন, বিলটি আমেরিকার আর্থিক ঘাটতি আরও বৃদ্ধি করবে। শুধু তা-ই নয়, মাস্কের মতে, ‘আমেরিকা দেউলিয়াও’ হয়ে যেতে পারে!
মাস্ক যদিও সরাসরি ট্রাম্পকে নিশানা করেননি। তাঁর নিশানায় ছিল মার্কিন কংগ্রেস। তবে প্রায় সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন, মাস্ক ঘুরিয়ে ট্রাম্পকেই আক্রমণ করতে চেয়েছেন। তবে মাস্কের এই অভিযোগের জবাব দিতে দেরি করেনি হোয়াইট হাউস। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট স্পষ্ট জানান, এই সমালোচনায় ট্রাম্পের মতামতের কোনও পরিবর্তন ঘটাবে না। তাঁর কথায়, ‘‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানেন এই বিলের ব্যাপারে ইলন মাস্কের অবস্থান কী। তাই এই ধরনের কথা প্রেসিডেন্টের মতের কোনও পার্থক্য ঘটবে না। তিনি এই বিলের ব্যাপারে অটল।’’
চলতি মাসের শেষের দিকেই আমেরিকার সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতর (ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা ডিওজিই)-এর গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা দেন মাস্ক। তবে দিন দুয়েক আগেও ট্রাম্পের এই নতুন বিল নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন তিনি। মাস্ক প্রকাশ্যেই সে সম্পর্কে জানিয়েছিলেন, ‘‘কোনও বিল একই সঙ্গে বড় এবং সুন্দর হতে পারে না।’’ মাস্কের দাবি, তিনি এবং তাঁর সহকারীরা ট্রাম্প প্রশাসনের অন্দরে থেকে এত দিন যে কাজ করে এসেছেন, সেগুলি ব্যর্থ হয়ে যাবে এই একটি বিলের কারণে। উল্লেখ্য, আমেরিকার সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতরের কাজই ছিল প্রশাসনের ‘অপ্রয়োজনীয় ব্যয়’ কাটছাঁট এবং অর্থনৈতিক সাশ্রয়।