ঘরের মেয়ে উমার বিদায়ের পর পরই ঘর আলো করে প্রবেশ করেন দেবী লক্ষ্মী। লক্ষ্মী হলেন ধনসম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী। দুর্গাপুজোর পর আশ্বিনের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে যে লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়, তাকে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো বলা হয়। বাংলার ঘরে ঘরে কোজাগরী পূর্ণিমায় লক্ষ্মীকে পুজো করে গৃহে ধন-সমৃদ্ধি বৃদ্ধির কামনা করেন পরিবারের সদস্যরা। গৃহিণীদের বিশেষ ব্যস্ততা দেখা যায় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষ্যে।
তবে লক্ষ্মী পুজোতে অন্য চিত্র ধরা পড়ল দুর্গাপুরে। দুর্গাপুরের কাদারোড নিষিদ্ধ পল্লীর যৌনকর্মীরা মেতে উঠলেন লক্ষ্মী পুজোর আনন্দে। লক্ষ্মী পুজো উপলক্ষে নিষিদ্ধ পল্লীর প্রতিটি বাড়িতে যৌনকর্মীরা লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করেছিলেন সেখানে। পুজোর আয়োজন, রান্নাবান্না, খাওয়া-দাওয়া - সবমিলিয়ে দুদিন ধরে এলাহী আয়োজন দুর্গাপুরের কাদা রোড নিষিদ্ধ পল্লীতে।
নিজেরাই পুজোয় ফল কেটেছেন৷ নিজেরাই ভোগ রান্না করেছেন। তারা নিজেদের ইচ্ছামত পুজো করেছেন, আবার পুষ্পাঞ্জলিও দিয়েছেন। স্বভাবতই নিষিদ্ধ পল্লী এলাকায় দুর্গাপুজোর পর আবারও ধুমধাম করে ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে লক্ষ্মীপুজো। আলোবিহীন স্যাঁত স্যাঁত গলির আনাচে কানাচে এখন কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে লক্ষ্মীর পাঁচালি পাঠ। (প্রতীকী ছবি)