Sawan Somvar 2022|| সেনার পাহারায় থাকেন মহাদেব! রাজ্যেই রয়েছে এই মন্দির, শ্রাবণের সোমবারে জল ঢেলে আসুন

Last Updated:
Shiva temple at military base camp panagarh: যদি ক্ষেত্রপাল শিব মন্দিরে সোমবার জল ঢালতে যেতে চান, তাহলে কাঁধে বাঁক রাখার পাশাপাশি আপনাকে সঙ্গে রাখতে হবে সচিত্র পরিচয় পত্র।
1/13
*শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবারে বিভিন্ন শিব মন্দিরে ভক্তরা ভিড় জমান পূর্ণ অর্জনের আশায়। শিবের মাথায় জল ঢেলে জীবনের সমস্ত পাপ, বাধা দূর করার প্রার্থনা করেন তারা। সেই তালিকায় একাধিক শিব মন্দির রয়েছে, যে সমস্ত মন্দিরগুলি নিজেদের মহিমায় সেই সমস্ত এলাকায় সুপরিচিত। তবে আজ আপনাদের এমন এক শিব মন্দিরের কথা জানাব, যা থাকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পাহারায়।
*শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবারে বিভিন্ন শিব মন্দিরে ভক্তরা ভিড় জমান পূর্ণ অর্জনের আশায়। শিবের মাথায় জল ঢেলে জীবনের সমস্ত পাপ, বাধা দূর করার প্রার্থনা করেন তারা। সেই তালিকায় একাধিক শিব মন্দির রয়েছে, যে সমস্ত মন্দিরগুলি নিজেদের মহিমায় সেই সমস্ত এলাকায় সুপরিচিত। তবে আজ আপনাদের এমন এক শিব মন্দিরের কথা জানাব, যা থাকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পাহারায়।
advertisement
2/13
*দক্ষিণবঙ্গের এক মাত্র এই শিব মন্দিরেই পাহারা দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছেন জওয়ানরা। শুধু পাহারার দায়িত্ব বললে ভুল হবে, মন্দিরটি অবস্থিত সেনাবাহিনীর এলাকার মধ্যে। তবে আপনিও এই শিব মন্দিরে গিয়ে সোমবার শিবের মাথায় জল ঢালতে পারেন। কিন্তু তার জন্য মানতে হবে বিশেষ কিছু নিয়ম কানুন। অন্যদিকে, এই শিব মন্দিরটির ইতিহাসও বেশ সুদীর্ঘ। পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড়ের সেনা ছাউনির ভেতরে অবস্থিত ক্ষেত্রপাল শিব মন্দির। এই মন্দিরটি ঘন্টা বাবার মন্দির নামে পরিচিত। এই মন্দিরটি রয়েছে সেনা ছাউনির নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতরে। মন্দিরটি পাহারার দায়িত্বে থাকেন সেনাঘাঁটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানরা।
*দক্ষিণবঙ্গের এক মাত্র এই শিব মন্দিরেই পাহারা দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছেন জওয়ানরা। শুধু পাহারার দায়িত্ব বললে ভুল হবে, মন্দিরটি অবস্থিত সেনাবাহিনীর এলাকার মধ্যে। তবে আপনিও এই শিব মন্দিরে গিয়ে সোমবার শিবের মাথায় জল ঢালতে পারেন। কিন্তু তার জন্য মানতে হবে বিশেষ কিছু নিয়ম কানুন। অন্যদিকে, এই শিব মন্দিরটির ইতিহাসও বেশ সুদীর্ঘ। পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড়ের সেনা ছাউনির ভেতরে অবস্থিত ক্ষেত্রপাল শিব মন্দির। এই মন্দিরটি ঘন্টা বাবার মন্দির নামে পরিচিত। এই মন্দিরটি রয়েছে সেনা ছাউনির নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতরে। মন্দিরটি পাহারার দায়িত্বে থাকেন সেনাঘাঁটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানরা।
advertisement
3/13
*এই মন্দিরে জল ঢালতে গেলে বা পুজো দিতে গেলে, আপনাকে ভিতরে ঢুকতে হবে। যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই আপনাকে মানতে হবে নিয়ম কানুন। পরিচয়ের প্রমাণ দেওয়ার পরেই ঢুকতে পারবেন এই মন্দিরে। কয়েকশো বছরের পুরনো এই মন্দিরটি দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বা সেনার দায়িত্বে রয়েছে। তবে বিশেষ তিথি এবং শ্রাবণ মাসের সোমবারগুলিতে এই মন্দিরে গিয়ে জল ঢালতে পারেন সাধারণ মানুষ জনও।
*এই মন্দিরে জল ঢালতে গেলে বা পুজো দিতে গেলে, আপনাকে ভিতরে ঢুকতে হবে। যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই আপনাকে মানতে হবে নিয়ম কানুন। পরিচয়ের প্রমাণ দেওয়ার পরেই ঢুকতে পারবেন এই মন্দিরে। কয়েকশো বছরের পুরনো এই মন্দিরটি দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বা সেনার দায়িত্বে রয়েছে। তবে বিশেষ তিথি এবং শ্রাবণ মাসের সোমবারগুলিতে এই মন্দিরে গিয়ে জল ঢালতে পারেন সাধারণ মানুষ জনও।
advertisement
4/13
*ক্ষেত্রপাল শিব মন্দিরটি কোটা গ্রামে অধীনস্থ। মন্দিরটি বর্তমানে সেনার অধীনে রয়েছে। এখানে মহাদেবকে ক্ষেত্রপাল রূপে পুজা করা হয়। ক্ষেত্রপাল মন্দিরের চারিদিকে প্রচুর পরিমাণ ঘন্টা ঝুলতে থাকায়, এই মন্দিরটিকে ঘন্টা বাবার মন্দির বলেও অনেকেই জানেন। ক্ষেত্রপাল মন্দিরে নিত্যপুজো হয়। পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন বেশ কয়েকজন পুরোহিত। শ্রাবণ মাসের সোমবারগুলিতে সেই সমস্ত পুরোহিতরা ভক্তদের সাহায্য করেন পুজোর জন্য।
*ক্ষেত্রপাল শিব মন্দিরটি কোটা গ্রামে অধীনস্থ। মন্দিরটি বর্তমানে সেনার অধীনে রয়েছে। এখানে মহাদেবকে ক্ষেত্রপাল রূপে পুজা করা হয়। ক্ষেত্রপাল মন্দিরের চারিদিকে প্রচুর পরিমাণ ঘন্টা ঝুলতে থাকায়, এই মন্দিরটিকে ঘন্টা বাবার মন্দির বলেও অনেকেই জানেন। ক্ষেত্রপাল মন্দিরে নিত্যপুজো হয়। পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন বেশ কয়েকজন পুরোহিত। শ্রাবণ মাসের সোমবারগুলিতে সেই সমস্ত পুরোহিতরা ভক্তদের সাহায্য করেন পুজোর জন্য।
advertisement
5/13
*শ্রাবণ মাসের সোমবারগুলিতে বহু ভক্ত বাঁকে করে জল নিয়ে এসে ক্ষেত্রপাল শিবলিঙ্গের মাথায় ঢালেন। তবে সমস্ত আইন কানুন মেনেই তাদেরকে সেনা ঘাঁটির ভিতরে ঢুকতে হয়। কঠোর নিরাপত্তার জন্য বহু পুরনো হয়েও, এখনও অনেকটাই অপরিচিত রয়ে গিয়েছে এই ক্ষেত্রপাল মন্দির। যদিও জেলার মানুষজনের এই মন্দিরটির প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা ভক্তি রয়েছে।
*শ্রাবণ মাসের সোমবারগুলিতে বহু ভক্ত বাঁকে করে জল নিয়ে এসে ক্ষেত্রপাল শিবলিঙ্গের মাথায় ঢালেন। তবে সমস্ত আইন কানুন মেনেই তাদেরকে সেনা ঘাঁটির ভিতরে ঢুকতে হয়। কঠোর নিরাপত্তার জন্য বহু পুরনো হয়েও, এখনও অনেকটাই অপরিচিত রয়ে গিয়েছে এই ক্ষেত্রপাল মন্দির। যদিও জেলার মানুষজনের এই মন্দিরটির প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা ভক্তি রয়েছে।
advertisement
6/13
*আপনি যদি ক্ষেত্রপাল শিব মন্দিরে সোমবার জল ঢালতে যেতে চান, তাহলে কাঁধে বাঁক রাখার পাশাপাশি আপনাকে সঙ্গে রাখতে হবে সচিত্র পরিচয় পত্র। ক্ষেত্রপাল মন্দির যাওয়ার জন্য সেনা ঘাঁটিতে ঢোকার সময় নিজের সচিত্র পরিচয় পত্র দেখিয়ে নাম এন্ট্রি করতে হবে। পুজো দেওয়া হয়ে গেলে বেরোনোর সময়ও তাও নথিভুক্ত করাতে হবে। মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেনা ঘাঁটির ভেতরে নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে।
*আপনি যদি ক্ষেত্রপাল শিব মন্দিরে সোমবার জল ঢালতে যেতে চান, তাহলে কাঁধে বাঁক রাখার পাশাপাশি আপনাকে সঙ্গে রাখতে হবে সচিত্র পরিচয় পত্র। ক্ষেত্রপাল মন্দির যাওয়ার জন্য সেনা ঘাঁটিতে ঢোকার সময় নিজের সচিত্র পরিচয় পত্র দেখিয়ে নাম এন্ট্রি করতে হবে। পুজো দেওয়া হয়ে গেলে বেরোনোর সময়ও তাও নথিভুক্ত করাতে হবে। মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেনা ঘাঁটির ভেতরে নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে।
advertisement
7/13
*তা ছাড়াও কোনওরকম সন্দেহজনক গতিবিধি দেখলেই ঘাঁটির ভেতরে থাকা জওয়ানরা তৎপর হয়ে উঠবেন, জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তাছাড়া সেনা ঘাঁটির ভিতরে ছবি তোলার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট কঠোর নিয়ম বিধি রয়েছে। সেনা ঘাঁটিতে ঢোকার সময় কোনরকম অস্ত্রশস্ত্র রাখা যাবে না নিজের সঙ্গে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানরা আপনাকে পরীক্ষা করার পরেই ভিতরে ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি দেবেন। এই সমস্ত নিয়ম কানুন মানলে আপনিও শ্রাবণ মাসের সোমবারে সেনা ঘাঁটির ভিতরে থাকা ক্ষেত্রপাল শিব লিঙ্গের মাথায় জল ঢালতে পারবেন। প্রত্যক্ষ করতে পারবেন নতুন রকমের এক অনুভূতির।
*তা ছাড়াও কোনওরকম সন্দেহজনক গতিবিধি দেখলেই ঘাঁটির ভেতরে থাকা জওয়ানরা তৎপর হয়ে উঠবেন, জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তাছাড়া সেনা ঘাঁটির ভিতরে ছবি তোলার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট কঠোর নিয়ম বিধি রয়েছে। সেনা ঘাঁটিতে ঢোকার সময় কোনরকম অস্ত্রশস্ত্র রাখা যাবে না নিজের সঙ্গে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানরা আপনাকে পরীক্ষা করার পরেই ভিতরে ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি দেবেন। এই সমস্ত নিয়ম কানুন মানলে আপনিও শ্রাবণ মাসের সোমবারে সেনা ঘাঁটির ভিতরে থাকা ক্ষেত্রপাল শিব লিঙ্গের মাথায় জল ঢালতে পারবেন। প্রত্যক্ষ করতে পারবেন নতুন রকমের এক অনুভূতির।
advertisement
8/13
*ক্ষেত্রপাল শিব মন্দির দক্ষিণবঙ্গের একমাত্র শিব মন্দির, যেটি সেনা ঘাঁটির ভিতরে অবস্থিত রয়েছে। মন্দির সহ জায়গাটির পরিচর্যা এবং নিরাপত্তার দায়িত্বেও রয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ক্ষেত্রপাল শিব মন্দিরে আসতে হলে আপনাকে নামতে হবে দু নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে অবস্থিত মারোগ্রাম স্টপেজের কাছে। যেটি পানাগড়ের কিছুটা আগেই অবস্থিত। সেখানে নেমে আপনি টোটো পেয়ে যাবেন সেনা ঘাঁটির গেট পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার জন্য। আপনি লোকাল বাস ধরলেন ক্ষেত্রপাল শিব মন্দিরের সবথেকে কাছে অবস্থিত সেনাঘাঁটির গেটের সামনে নামতে পারবেন। আর আপনি যদি ট্রেনে আসেন, তাহলে পানাগড় স্টেশনে নেমে সেখান থেকে বাস, ট্যাক্সি অথবা ভাড়া গাড়ির মাধ্যমে পৌঁছতে পারবেন সেখানে।
*ক্ষেত্রপাল শিব মন্দির দক্ষিণবঙ্গের একমাত্র শিব মন্দির, যেটি সেনা ঘাঁটির ভিতরে অবস্থিত রয়েছে। মন্দির সহ জায়গাটির পরিচর্যা এবং নিরাপত্তার দায়িত্বেও রয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ক্ষেত্রপাল শিব মন্দিরে আসতে হলে আপনাকে নামতে হবে দু নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে অবস্থিত মারোগ্রাম স্টপেজের কাছে। যেটি পানাগড়ের কিছুটা আগেই অবস্থিত। সেখানে নেমে আপনি টোটো পেয়ে যাবেন সেনা ঘাঁটির গেট পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার জন্য। আপনি লোকাল বাস ধরলেন ক্ষেত্রপাল শিব মন্দিরের সবথেকে কাছে অবস্থিত সেনাঘাঁটির গেটের সামনে নামতে পারবেন। আর আপনি যদি ট্রেনে আসেন, তাহলে পানাগড় স্টেশনে নেমে সেখান থেকে বাস, ট্যাক্সি অথবা ভাড়া গাড়ির মাধ্যমে পৌঁছতে পারবেন সেখানে।
advertisement
9/13
*সোমবার যদি কেউ ক্ষেত্রপাল শিব মন্দিরে গিয়ে জল ঢালার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে কাঁকসার অজয়ের বিভিন্ন ঘাট অথবা দামোদরের ঘাট থেকে জল তুলতে পারেন। তারপর পদযুগলের সাহায্যে পৌঁছে যেতে পারেন মন্দিরে। তবে এই মন্দিরে গিয়ে জল ঢালতে হলে আপনাকে মাথায় রাখতেই হবে, ক্ষেত্রপাল শিব মন্দিরটি সকাল এবং বিকেলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা থাকে। সেই সময় মেনে চলতে পারলেই, আপনি সেখানে জল ঢালতে পারবেন অথবা পুজো দিতে পারবেন।
*সোমবার যদি কেউ ক্ষেত্রপাল শিব মন্দিরে গিয়ে জল ঢালার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে কাঁকসার অজয়ের বিভিন্ন ঘাট অথবা দামোদরের ঘাট থেকে জল তুলতে পারেন। তারপর পদযুগলের সাহায্যে পৌঁছে যেতে পারেন মন্দিরে। তবে এই মন্দিরে গিয়ে জল ঢালতে হলে আপনাকে মাথায় রাখতেই হবে, ক্ষেত্রপাল শিব মন্দিরটি সকাল এবং বিকেলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা থাকে। সেই সময় মেনে চলতে পারলেই, আপনি সেখানে জল ঢালতে পারবেন অথবা পুজো দিতে পারবেন।
advertisement
10/13
*স্থানীয় ইতিহাস নিয়ে পর্যালোচনা করলে জানা যায়, মহাদেবের ক্ষেত্রপাল রূপকে কৃষিকর্মের দাতা এবং রক্ষাকর্তা হিসেবেই স্থানীয় মানুষজন পুজো করতেন। একসময় এই জায়গাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার অধীনস্থ ছিল। তবে বর্তমানে জায়গাটি পশ্চিম বর্ধমান জেলায় অবস্থিত। সেনা ঘাঁটি সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামগুলি মূলত কৃষিকাজ নির্ভর। বহু প্রাচীন এই গ্রামগুলিতে কয়েকশো বছর ধরে কৃষিকাজের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষজন জীবন যাপন করে আসছেন। একটা সময় এই গ্রামের সমস্ত মানুষদের কৃষিকাজ প্রধান জীবিকা ছিল। সে সময় কৃষিকাজ বা ক্ষেতগুলি রক্ষাকর্তা হিসেবেই ক্ষেত্রপালের পুজো করা হতো। ক্ষেতের পালন কর্তা শব্দ থেকেই ক্ষেত্রপাল নামটির উৎপত্তি হয়েছে।
*স্থানীয় ইতিহাস নিয়ে পর্যালোচনা করলে জানা যায়, মহাদেবের ক্ষেত্রপাল রূপকে কৃষিকর্মের দাতা এবং রক্ষাকর্তা হিসেবেই স্থানীয় মানুষজন পুজো করতেন। একসময় এই জায়গাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার অধীনস্থ ছিল। তবে বর্তমানে জায়গাটি পশ্চিম বর্ধমান জেলায় অবস্থিত। সেনা ঘাঁটি সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামগুলি মূলত কৃষিকাজ নির্ভর। বহু প্রাচীন এই গ্রামগুলিতে কয়েকশো বছর ধরে কৃষিকাজের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষজন জীবন যাপন করে আসছেন। একটা সময় এই গ্রামের সমস্ত মানুষদের কৃষিকাজ প্রধান জীবিকা ছিল। সে সময় কৃষিকাজ বা ক্ষেতগুলি রক্ষাকর্তা হিসেবেই ক্ষেত্রপালের পুজো করা হতো। ক্ষেতের পালন কর্তা শব্দ থেকেই ক্ষেত্রপাল নামটির উৎপত্তি হয়েছে।
advertisement
11/13
*উল্লেখ্য, ক্ষেত্রপাল বাংলার বিভিন্ন গ্রামীন এলাকাগুলিতে পূজিত হওয়া লৌকিক দেবতা। পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা ছাড়াও, রাজ্যের বেশ কয়েকটি কৃষি প্রধান এলাকায় ক্ষেত্রপালের পুজো করা হয়। তবে বয়স এবং মন্দিরটির অবস্থানের জন্য পানাগড়ের ক্ষেত্রপাল মন্দির অন্যতম। স্থানীয় এলাকার বহু মানুষজন, পরিবারের যে কোনও শুভ কাজে এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। বংশ পরম্পরায় তেমনি নিয়ম প্রচলিত রয়েছে।
*উল্লেখ্য, ক্ষেত্রপাল বাংলার বিভিন্ন গ্রামীন এলাকাগুলিতে পূজিত হওয়া লৌকিক দেবতা। পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা ছাড়াও, রাজ্যের বেশ কয়েকটি কৃষি প্রধান এলাকায় ক্ষেত্রপালের পুজো করা হয়। তবে বয়স এবং মন্দিরটির অবস্থানের জন্য পানাগড়ের ক্ষেত্রপাল মন্দির অন্যতম। স্থানীয় এলাকার বহু মানুষজন, পরিবারের যে কোনও শুভ কাজে এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। বংশ পরম্পরায় তেমনি নিয়ম প্রচলিত রয়েছে।
advertisement
12/13
*জানা যায়, সেনা ঘাঁটি তৈরি হওয়ার আগে থেকেই ক্ষেত্রপাল মন্দিরটি ওই জায়গায় ছিল। পরে যখন পানাগড়ে সেনা ঘাঁটি গড়ে তোলা হয়, তখন আশপাশের গ্রামগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু মন্দিরটি সরানোর ক্ষেত্রে স্থানীয়রা বিরোধ প্রকাশ করেছিলেন। ফলে ক্ষেত্রপাল শিব মন্দিরটি অক্ষত রেখেই ওই এলাকায় সেনাঘাঁটি গড়ে ওঠে। আর ঘাঁটির ভিতর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত এবং অক্ষত রাখতে, ভারতীয় সেনা নিজেদের কাঁধে মন্দিরটির পরিচর্যা এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে নেয়। তখন থেকেই চলে আসছে এই নিয়ম। যা, মন্দিরটির গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
*জানা যায়, সেনা ঘাঁটি তৈরি হওয়ার আগে থেকেই ক্ষেত্রপাল মন্দিরটি ওই জায়গায় ছিল। পরে যখন পানাগড়ে সেনা ঘাঁটি গড়ে তোলা হয়, তখন আশপাশের গ্রামগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু মন্দিরটি সরানোর ক্ষেত্রে স্থানীয়রা বিরোধ প্রকাশ করেছিলেন। ফলে ক্ষেত্রপাল শিব মন্দিরটি অক্ষত রেখেই ওই এলাকায় সেনাঘাঁটি গড়ে ওঠে। আর ঘাঁটির ভিতর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত এবং অক্ষত রাখতে, ভারতীয় সেনা নিজেদের কাঁধে মন্দিরটির পরিচর্যা এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে নেয়। তখন থেকেই চলে আসছে এই নিয়ম। যা, মন্দিরটির গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
advertisement
13/13
*স্থানীয়ভাবে পূজিত হওয়া লৌকিক দেবতা ক্ষেত্রপালের মন্দিরটি, আজ বিমান ঘাঁটির ভিতরে অবস্থানের জন্য বেশি প্রতিপত্তি পেয়েছে। তবে আজও স্থানীয় মানুষজন ক্ষেত্রপালকে নিজেদের রক্ষাকর্তা মনে করেন। এখানে পুজো দিতে আসা ভক্তরা বিশ্বাস করেন, এই মন্দিরে ঘন্টা বাঁধলে সব মনস্কামনা পূর্ণ হয়। আর সে কারণেই বহু কাঁসা-পিতলের ঘন্টা দ্বারা বেষ্টিত রয়েছে ক্ষেত্রপাল মন্দির। সে জন্যই এই মন্দিরের আরেক নাম ঘন্টা বাবার মন্দির।
*স্থানীয়ভাবে পূজিত হওয়া লৌকিক দেবতা ক্ষেত্রপালের মন্দিরটি, আজ বিমান ঘাঁটির ভিতরে অবস্থানের জন্য বেশি প্রতিপত্তি পেয়েছে। তবে আজও স্থানীয় মানুষজন ক্ষেত্রপালকে নিজেদের রক্ষাকর্তা মনে করেন। এখানে পুজো দিতে আসা ভক্তরা বিশ্বাস করেন, এই মন্দিরে ঘন্টা বাঁধলে সব মনস্কামনা পূর্ণ হয়। আর সে কারণেই বহু কাঁসা-পিতলের ঘন্টা দ্বারা বেষ্টিত রয়েছে ক্ষেত্রপাল মন্দির। সে জন্যই এই মন্দিরের আরেক নাম ঘন্টা বাবার মন্দির।
advertisement
advertisement
advertisement