একটা ভুল বানানই ফাঁস করে দিতে পারে জাল এসএমএস, কীভাবে বুঝবেন

Last Updated:
এর পাশাপাশি প্রেরকের নম্বর যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিচিত ব্যাঙ্ক বা সরকারি সংস্থা সাধারণত নির্দিষ্ট ও পরিচিত নম্বর বা হেডার থেকেই এসএমএস পাঠায়। অপরিচিত বা সাধারণ মোবাইল নম্বর থেকে আসা মেসেজ হলে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন।
1/6
ভুয়ো ব্যাঙ্কিং অ্যাপ থেকে সাবধান! নিমেষে খালি অ্যাকাউন্ট, ইনস্টল করার আগে কী পরীক্ষা করবেন
ভুয়ো বা জাল এসএমএস চেনার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। প্রথমেই খেয়াল করুন মেসেজের ভাষা ও লেখার ধরন। অনেক সময় বানান ভুল, অস্বাভাবিক ভাষা বা অপ্রাসঙ্গিক বাক্য ব্যবহার করা হয়, যা সন্দেহের কারণ হতে পারে।
advertisement
2/6
কেন এটি ঘটে: টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (TRAI) নিয়ম অনুসারে যদি কোনও ইউজার ৯০ দিন ধরে কোনও নম্বর রিচার্জ না করেন, তাহলে কোম্পানিটি এটিকে নিষ্ক্রিয় বলে বিবেচনা করতে পারে এবং পুনরায় ইস্যু করতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট ২০২৩ সালে একটি আবেদনের শুনানি করার সময় বলেছিল যে কোম্পানিগুলিকে নম্বর পুনরায় ইস্যু করা থেকে বিরত রাখা যাবে না। তবে, এটি ইউজারের ডেটার অপব্যবহারের ঝুঁকি বাড়ায়।
এর পাশাপাশি প্রেরকের নম্বর যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিচিত ব্যাঙ্ক বা সরকারি সংস্থা সাধারণত নির্দিষ্ট ও পরিচিত নম্বর বা হেডার থেকেই এসএমএস পাঠায়। অপরিচিত বা সাধারণ মোবাইল নম্বর থেকে আসা মেসেজ হলে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন।
advertisement
3/6
প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, ততই আর্থিক জালিয়াতির নিত্যনতুন উপায় খুঁজে বের করে ফেলছে দুষ্কৃতীরা। এখন আর শুধু লিঙ্ক পাঠিয়ে ডিভাইসের অ্যাক্সেস নেওয়া হয় না, রয়েছে সিম সোয়াপের মতো পদ্ধতিও। দেশ জুড়ে সিম সোয়াপ জালিয়াতির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় আর্থিক ও টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছে। এই জালিয়াতির ঘটনায় প্রতারকরা টেলিকম সরবরাহকারীদের নতুন সিমে পোর্ট করার জন্য রাজি করিয়ে একজন ভুক্তভোগীর মোবাইল নম্বর হাইজ্যাক করে।
কোনও এসএমএসে যদি আপনার ব্যক্তিগত বা সংবেদনশীল তথ্য—যেমন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ওটিপি, পিন, কার্ডের তথ্য ইত্যাদি জানতে চাওয়া হয়, তাহলে সেই মেসেজ কখনওই বিশ্বাস করবেন না। এ ধরনের তথ্য কোনও সংস্থা এসএমএসের মাধ্যমে চায় না।
advertisement
4/6
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জয়নগরের এক গ্রাহক বলেন, ফোনে নাম বলে জানানো হচ্ছে, অনলাইনে দেওয়া বিদ্যুৎ বিলের 'পেমেন্ট আপডেট' হয়নি। তাই লিঙ্কে ক্লিক করে তা আপডেট করতে বলা হচ্ছে। একবার ফোন কেটে দিলে রোজই ফোন করা হচ্ছে। অনেকে কিছু সন্দেহ না করে লিঙ্কে ক্লিক করে দিচ্ছেন। তারপরই দেখা যাচ্ছে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব। (তথ্য-সুমন সাহা)
মেসেজে থাকা লিঙ্কের বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে। যাচাই না করে সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক করা বিপজ্জনক হতে পারে। বিশেষ করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বড় পুরস্কার, আকর্ষণীয় ছাড় বা জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হলে সেটি প্রতারণার ইঙ্গিত হতে পারে।
advertisement
5/6
ভুক্তভোগী বারুইপুরের এক গ্রাহক সন্দীপ বসু বলেন, 'ফোনে বিদ্যুৎ অফিসের অফিসার পরিচয় দিয়ে অনলাইনে পাঠানো বিদ্যুতের বিলের 'পেমেন্ট আপডেট' করতে বলা হচ্ছে। এজন্য প্রথমে ফোনে একটা অ্যাপ ইন্সটল করতে বলা হচ্ছে। তা করতে অসুবিধা হলে বলা হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ লিঙ্ক পাঠানো হচ্ছে; সেখানে গিয়ে জলদি ক্লিক করতে। এই বলে ভয় দেখানো হচ্ছে যে, শেষ বিদ্যুৎ বিলের পেমেন্ট জমা পড়েনি। দ্রুত 'পেমেন্ট আপডেট' না করলে বাড়ির লাইন কেটে নেওয়া হবে। আমি এটা প্রতারণা বুঝতে পেরে ওই ফোন নম্বর দ্রুত ব্লক করে দিই।'
একই ধরনের মেসেজ বারবার আসা বা বিভিন্ন নম্বর থেকে একই বার্তা পাওয়াও ভুয়ো এসএমএসের লক্ষণ। যদি কোনও সংস্থা বা ব্যাঙ্কের নাম ব্যবহার করে মেসেজ পাঠানো হয়, তাহলে সরাসরি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা গ্রাহক পরিষেবার মাধ্যমে তথ্য যাচাই করা ভালো।
advertisement
6/6
এই জালিয়াতির বেশিরাগক্ষেত্রেই ই-মেল, টেক্সট বা কল করে দাবি করা হয় যে ইউজার এমন একটি কেনাকাটা করেছেন যা তাঁর মনে নেই, যার ফলে তাঁরা অর্ডার যাচাই করার জন্য ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করতে বাধ্য হন। ম্যালওয়্যারবাইটসের মতে, কিছু ভুয়ো ই-মেল মিথ্যা দাবি করে যে ইউজারের প্রাইম সাবস্ক্রিপশন উচ্চ মূল্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিনিউ হবে, যার মধ্যে একটি ভুয়ো ক্যানসেল সাবস্ক্রিপশন বাটন থাকে যা একটি ভুয়ো অ্যামাজন লগইন পেজে নিয়ে যায়।
সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হল—কোনও মেসেজ নিয়ে সন্দেহ হলে সেটি উপেক্ষা করা এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক বা সংস্থার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে সত্যতা নিশ্চিত করা। সতর্ক থাকলেই অনলাইন প্রতারণা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।
advertisement
advertisement
advertisement