Air Conditioner: দেড় টন এসি রোজ ৭-৮ ঘণ্টা চললে কত বিদ্যুতের বিল আসবে? জেনে নিন হিসেব, টাকা বাঁচবে

প্রবল গরমে স্বস্তি পেতে অনেকেই এখন এসি ব্যবহার করছেন। তবে এসি ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি যে ব্যাপারটা চিন্তায় ফেলে তা হল বিদ্যুৎ বিল। অনেকেই বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেন। আসলে ঘর কতটা বড়, তার উপর নির্ভর করে কিনতে হয় এসি। ঘরের আকার বড় হলে অবশ্যই দেড় টন এসি কেনা উচিত।

ধরুন, আপনি ইনভার্টার টেকনোলজির ১.৫ টনের এসি একটানা ৮ ঘণ্টা ব্যবহার করবেন রোজ। ইনভার্টার এসি সাধারণত তুলনামূলক তাড়াতাড়ি ঘর ঠান্ডা করতে পারে। এটি শুরুতেই বেশি শক্তি খরচ করে চালু হয়। পরে কম্প্রেসর পুরোপুরি বন্ধ না হয়ে শুধু মোটর-এর কাজের গতির পরিবর্তন হয়।

দেড় টন ইনভার্টার এসি ৮০ শতাংশ এনার্জি কনজিউম অপশনে প্রথম এক ঘণ্টায় ৭০০ ওয়াটের মতো বিদ্যুৎ খরচ করতে পারে। এর পর ৪ ঘণ্টা ৫০০ ওয়াটের মতো বিদ্যুৎ খরচ করে। এরপর ৩ ঘণ্টা ২০০ ওয়াটের মতো বিদ্যুৎ খরচ করবে। তবে এটা বাইরের তাপমাত্রার উপর নির্ভর করবে। এখানে গড় একটি হিসাব ধরে দেওয়া হল।

৮ ঘণ্টা চললে মোট ৮×৩০ = ২৪০ ঘণ্টা এসি চলবে মাসে। বিদ্যুৎ খরচ দাঁড়াবে- ৭০০×২৪০ ওয়াট বা ঘণ্টা= ১৬৮,০০০ ওয়াট বা ঘণ্টা। ১৬৮,০০০÷১০০০ ইউনিট= ১৬৮ ইউনিট। এবার বিদ্যুৎ বিল প্রতি ইউনিট যদি হয় ১০ টাকা হয় তা হলে এসির এক মাসে খরচ হবে ১৬৮×১০ = ১৬৮০ টাকা। তবে প্রতি ঘণ্টা হিসেব করলে বিল আরও কম হবে।

এখানে যে হিসাব দেওয়া হল তা আধুনিক প্রযুক্তির যেসব এসি আছে তার উপর নির্ভর করে। কিন্তু পুরনো এসি ২০০০-২৫০০ ওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ খরচ করতে পারে। তাই সেগুলি কিনলে বিদ্যুৎ খরচ অনেক বেশি পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে টানা ৮ ঘণ্টা এসি চালালে খরচ হতে পারে ২ হাজার টাকার কাছাকাছি।

এসি মোটামুটি মেইন্টেন করে রাখলে বিদ্যুতের বিলে সাশ্রয় করতে পারবেন। যেমন- এসি সময়মতো সার্ভিস করাতে হবে। এসির ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। এসি যে ঘরে চলে সেখানে যেন হাওয়া বেরিয়ে যাওয়ার কোনও ফাঁক-ফোকড় না থাকে। তা হলে ঘর ঠাণ্ডা হতে বেশি সময় লাগবে, ফলে বিল আসবে বেশি।