জিওফোন গ্রাহকদের জন্য ওয়ি অ্যাপ লঞ্চ করার উদেশ্য হল আরও বেশি মানুষের কাছে এই অ্যাপ পৌঁছে দেওয়া। জিওর কম দামের এই ৪জি ফিচার ফোন বেশ জনপ্রিয়। ২ এপ্রিল সরকার লঞ্চ করে ছিল এই আরোগ্য সেতু অ্যাপ। তারপর থেকে স্মার্টফোন ইতিমধ্যে গোটা দেশের ১০ কোটি নাগরিক এই অ্যাপ ব্যবহার শুরু করেছেন। গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপ স্টোরে ট্রেন্ডিং অ্যাপের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে এই অ্যাপ। লঞ্চের পর ১৩ দিনের মধ্য ৫ লক্ষ গ্রাহকরা এই অ্যাপ ডাউনলোড করেছিল।
এছাড়াও ইতিমধ্যেই সরকার ফিচার ফোন আর ল্যান্ডলাইন গ্রহকদের জন্য IVRS সার্ভিস চালু করেছে। ভয়েস কলের মাধ্যমে ফিচার ফোনে আরোগ্য সেতু কাজ করবে। ১৯২১ নম্বরে ফোন করে আইভিআরএসয়ের মাধ্যমে যে কোন গ্রাহক ভয়েস কল থেকেই নিয়ের সংক্রমণের ঝুঁকি জেনে নিতে পারবেন। এই পরিষেবা গোটা দেশেই উপলব্ধ। এটি একটি টোল ফ্রি পরিষেবা।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতেই ‘Aarogya Setu’ অ্যাপ এনেছে কেন্দ্র। এই অ্যাপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবেন তাঁর করোনা আক্রান্ত হওয়ার কতটা আশঙ্কা রয়েছে। তার জন্য মাপকাঠি হিসাবে ধরা হচ্ছে ব্যবহারকারীর সঙ্গে তাঁর আশেপাশের লোকেদের যোগাযোগের পরিমাণ। ব্লুটুথে কাটিং এজ পদ্ধতি, অ্যালগরিদম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এটি তৈরি করা হয়েছে।
ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনের ব্লুটুথ/জিপিএস (Bluetooth/ GPS) এর রেঞ্জে অন্যান্য ডিভাইসের সঙ্গে অ্যাপও এক লহমায় ডিটেক্ট করে নিতে পারে আরোগ্য সেতু। আপনার পরিচিত কেউ বা আপনার সঙ্গে খুব সম্প্রতিই যোগাযোগ হয়েছে এমন কেউ COVID-19 এ আক্রান্ত হলে এই অ্যাপ আপনাকে সজাগ করে দেবে। পাশাপাশিই আপনার এলাকায় কারও যদি করোনার উপস্থিতি দেখা যায়, তাহলে সে খবরও আপনাকে দিয়ে দিতে সক্ষম এই আরোগ্য সেতু।