India after 100 years: ১০০ বছর পরে দেশের অবস্থা কেমন হবে? এআই যে ছবি দিচ্ছে, দেখলে চোখ কপালে উঠবে

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, সংক্ষেপে এআই। বাংলায় আমরা বলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আর ওটুকুর মধ্যেই বিষয়টার সবটা স্পষ্ট হয়ে যায়।

তবে, কৃত্রিম হলে কী হবে, এই বুদ্ধিমত্তা হার মানায় যেন মানুষকেও। কী না পারে সে- লহমায় হাতের কাছে জুগিয়ে দেয় তথ্য, সেকেন্ডে এঁকে দেয় ফরমাস মতো ছবি।

এবার, এআই ১০০ বছর পরে আমাদের এই দেশ কেমন হবে, তার একগুচ্ছ ছবি এঁকেছে। দেখে নেওয়া যাক এক এক করে ভারতের শহরের চেহারা কেমন হতে পারে।

দিল্লিসবার আগে আসা যাক রাজধানীর কথায়। এআই-এর মতে, ১০০ বছর পরের ভারতে মিশে থাকবে সমান তালে আধুনিকতা এবং প্রযুক্তি, যার ঝলকে ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশেছে স্কাইস্ক্র্যাপার, আকাশ দিয়ে যাতায়াত করছে ড্রোনের মতো দেখতে বায়ুযান।

আগ্রাতাজমহলের চেহারা দেখেও চমকে উঠতে হয়। অনেকটাই বদলে গিয়েছে তার পারিপার্শ্বিক। মাথার উপরে দিয়ে উড়ে চলেছে বিচিত্র সব বায়ুযান, সামনের জলেও ভাসছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বাহন।

পথঘাট ভবিষ্যতের পৃথিবীতে যে দূষণ বাড়বে, তা নিয়ে আণাদের মতো এআই-ও নিঃসন্দিহান। ফলে, পথের ঝলকে সবার মুখেই মাস্ক, বায়ুদূষণের জেরে দিগন্ত ধোঁয়াশায় ঢাকা।

মন্দির এই ছবি বেশ কাল্পনিক, তবে, ১০০ বছর পরেও যে ভারতীয়রা সনাতন ধর্ম ভউলবে না, এখানে রয়েছে তার স্পষ্ট আভাস।

মুম্বই গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার সামনে ভিড় আগের মতোই, তবে এর চারপাশে কোনও বায়ুযান চোখে পড়ছে না। যা দেখা যাচ্ছে, ১০০ বছর পরে স্থাপত্য এবং সৌধ অেক বেশি পরিষ্কার রাখবে মানুষ।

ফের দূষণপ্রযুক্তির সবটাই সুখের নয়। দেখা যাচ্ছে, কারখানা থেকে ছাড়া জলে কী ভাবে ভেসে যাচ্ছে বস্তি-এলাকা।

পঠন-পাঠনস্কুল এখনই অনেক আধুনিক, তবে ১০০ বছর পরে যা দেখা যাচ্ছে, পড়ুয়ারা আর খাতা-বই নিয়ে বসবে না, স্বাভাবিক ভাবেই সবার সামনে খোলা একটা করে ল্যাপটপ।

ঘর-বাড়িএটার কথাও মাথায় আসবেই, আমাদের বাড়িঘরের আর্কিটেকচারে কি কিছু বদল আসবে? এআই যে আবাসনের ছবি দেখিয়েছে, তা দেখে ভালই লাগে। বাড়ির সামনে একটু ফাঁকা জায়গা, রাস্তা ঝকঝকে-তকতকে, আর কী বা চাওয়ার থাকতে পারে!