Gmail Fraud: আপনার কাছেও কি এই ধরনের ইমেল এসেছে? প্রতারণার নয়া ফাঁদ জালিয়াতদের! মুহূর্তের মধ্যে ফাঁকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট
- Published by:Ananya Chakraborty
- Reported by:Trending Desk
Last Updated:
Gmail Fraud: Google-এর সার্ভার কাজে লাগিয়ে স্ক্যামাররা একদম একই রকম দেখতে সিকিউরিটি অ্যালার্ট ইমেল পাঠাচ্ছে Gmail ব্যবহারকারীদের।
স্ক্যামাররা সাধারণত নিরাপত্তার ফাঁকফোকর গলে নিজেদের প্রতারণার কাজ চালিয়ে যায়। আর Google-এর সার্ভার কাজে লাগিয়ে স্ক্যামাররা একদম একই রকম দেখতে সিকিউরিটি অ্যালার্ট ইমেল পাঠাচ্ছে Gmail ব্যবহারকারীদের। আর সবথেকে খারাপ বিষয় হল, আপাতদৃষ্টিতে পড়লে সাধারণ ইমেল বলেই মনে হবে। এমনকী এর ডোমেনের নামও বৈধ এবং আসল বলেই মনে হতে পারে। সেই কারণে বেশিরভাগ মানুষ স্ক্যামারের ইমেলের সত্যতা যাচাই করে দেখেন না। ফলে তাঁদের মেল চলে যায় স্ক্যামারদের হাতে।
advertisement
স্ক্যামাররা মূলত মনোস্তাত্ত্বিক খেলা খেলছে, কীভাবে তারা কাজ করে? Gmail ব্যবহারকারীদের সঙ্গে স্ক্যামাররা মূলত মনোস্তাত্ত্বিক খেলা খেলছে। তারা ইউজারদের এমন ভাবে ভয় দেখাচ্ছে যে, তাঁদের মাথায় সেটা যাচাই করা ভাবনা আসছেই না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় একটি ইমেলের কথা। যেখানে বলা হয়েছে যে, Google LLC-র কাছে বৈধ সমন পাঠিয়েছে সরকার।
advertisement
আর এই আইনি সমন অনুযায়ী, ব্যবহারকারীকে নিজের গুগল অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য যেমন - ছবি, ইমেল, ম্যাপ ডেটা ইত্যাদি সরকারের হাতে তুলে দিতে হবে। তবে এই ভুয়ো ইমেলে কিন্তু বলা হয়নি যে, ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকার। বরং তাতে বলা হয়েছে যে, সরকার চায় যে, গুগল ব্যবহারকারীর ডেটা এবং কন্টেন্ট দিয়ে দিক। এটাই হল প্রতারণার মূল কেন্দ্রবিন্দু।
advertisement
এই ভুয়ো ইমেল আরও একবার পড়লে এর মধ্যে থাকা একাধিক অপ্রয়োজনীয় এবং ভুয়ো তথ্যের সন্ধান পাবেন ব্যবহারকারী। এর মধ্যে অন্যতম হল - Google Account ID, সাপোর্ট রেফারেন্স আইডি ইত্যাদি। এতে আরও বলা হয় যে, Google LLC-র কাছে আইনি সমন পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সরাসরি ভাবে তা ব্যবহারকারীর কাছে পাঠানো হয়নি। এতে ব্যবহারকারীর মনে হবে যে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নয়, বরং গুগলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ।
advertisement
গুগল-ও স্বীকার করে নিয়েছে যে, এই প্রতারণা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তারা এ-ও জানিয়েছে যে, তাদের সিস্টেমের অপব্যবহার ঠেকাতে তারা নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সেই সঙ্গে ব্যবহারকারীদের টু-ফ্যাক্টর ভেরিফিকেশন এবং পাস-কি ব্যবহার করার আর্জি জানিয়েছে। কারণ এগুলিই এই ধরনের ফিশিংয়ের বিরুদ্ধে জোরদার সুরক্ষা দিতে পারে।
advertisement