Driving License: RTO অফিসে যেতে হবে না, বাড়িতে বসেই এভাবে বানান ড্রাইভিং লাইসেন্স, জানুন সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া

একটা সময় ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হত। এখন পুরো প্রক্রিয়াটাই অনলাইনে। অফিসে যাওয়ার ঝামেলা নেই। বাড়িতে বসেই অনলাইনে আবেদন করে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পারেন যে কেউ।

লোকাল 18-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এআরটিও পঙ্কজ সিংহ জানান, ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার দুটি ধাপ। প্রথম ধাপে লার্নিং লাইসেন্স নিতে হয়। দ্বিতীয় ধাপে পার্মানেন্ট (স্থায়ী) লাইসেন্স মেলে। লার্নিং লাইসেন্স ছাড়া পার্মানেন্ট লাইসেন্স নেওয়া যায় না। এখন দেশের যে কোনো জায়গা থেকে সহজেই অনলাইনে লার্নিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যায়।

লার্নিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হলে প্রথমে পরিবহন বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে "লাইসেন্স" বিভাগে গিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্য নির্বাচন করে ক্লিক করতে হবে "লার্নিং লাইসেন্স আবেদন" অপশনে।

এই অপশন খুললে, গ্রাহককে আধার কার্ড নম্বরের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আধার কার্ড যাচাই করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে আধার কার্ডের সাথে যুক্ত সমস্ত তথ্য ওয়েবসাইটে পূরণ হয়ে যাবে। আবেদন করার সময়, ক্যাটেগরির নির্বাচন করতে হবে, যেটির জন্য গ্রাহক ড্রাইভিং লাইসেন্স বানাতে চান, যেমন - দুই চাকার যান, চার চাকার যান বা বড় গাড়ি।

আবেদন চলাকালীন, গ্রাহক দেখতে পাবেন যে বিভিন্ন ক্যাটেগরির জন্য নির্দিষ্ট ফি নির্ধারিত আছে, যা অনলাইনে জমা দিতে হবে। এআরটিও পঙ্কজ সিংহ জানান যে, আবেদন করার পর পরীক্ষা দিতে হবে গ্রাহককে। এই পরীক্ষাও অনলাইনে দেওয়া যায়। এর জন্য মোবাইল বা ল্যাপটপ থাকতে হবে।

পরীক্ষায় ট্র্যাফিক আইন এবং পথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত সাধারণ প্রশ্ন থাকে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, এদিক-ওদিক তাকানো বা উত্তর দিতে দেরি হলে পরীক্ষা বাতিল হয়ে যেতে পারে। পরীক্ষায় পাশ করলে লার্নিং লাইসেন্স ইস্যু করা হয়।

পার্মানেন্ট লাইসেন্স পেতে ফের আবেদন করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় লার্নিং লাইসেন্স ও আধার কার্ডের কপি প্রয়োজন। প্রথমে আবেদন জমা, নির্ধারিত ফি প্রদান, ড্রাইভিং টেস্টের জন্য স্লট বুক করার পর সঠিক দিনে নির্ধারিত RTO অফিসে গিয়ে ড্রাইভিং টেস্ট দিতে হবে।

পরীক্ষার সময় দেখা হবে চালক গাড়ি সঠিকভাবে চালাতে পারেন কিনা। পরীক্ষায় পাস করলে পার্মানেন্ট লাইসেন্স ইস্যু করা হবে। এআরটিও পঙ্কজ সিংহ জানান, লার্নিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক এবং সেই নম্বরের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক থাকতে হবে। লার্নিং লাইসেন্সের জন্য অন্য কোনো নথির প্রয়োজন নেই। তবে, পার্মানেন্ট ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার সময় আধার কার্ড ও লার্নিং লাইসেন্সের কপি জমা দিতে হবে।