AC তাড়াতাড়ি খারাপ হয় কেন? তিনটে বড় কারণ, এরকম ভুল করলেই খরচের শেষ থাকবে না

মানবদেহে হার্ট বা হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে গেলে তা কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ফলে মৃত্যু ঘনিয়ে আসে। ঠিক তেমন ভাবেই এসি-সহ এই সমস্ত যন্ত্রের কম্প্রেসার বিকল হয়ে কাজ করা বন্ধ করে দিলে তা খারাপ হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ, বলা যেতেই পারে যে এসি-র সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পার্টস হল কম্প্রেসর।

শ্রাবণ মাসে এবার ভরা বর্ষাতেও গরম পড়েছে ভালই। সামনেই ভাদ্র, অর্থাৎ গরম এখনও চলবে পুজোর আগে পর্যন্ত। ফলে অনেকের বাড়িতেই এখন এসি চলছে, এমনকী পরের এক মাসও এসি চলবে।

আবহাওয়া যা-ই হোক, যে কোনও মরশুমেই কিন্তু এসির যত্ন নেওয়াটা জরুরি। অনেকেই এসি কেনার পর কয়েকটা ভুল করে বসেন। আর তাতেই এসি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়।

আজ আমরা আপনাদের জানাব তিনটে কারণ, যে কারণগুলোর জন্য এসি খুব তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যেতে পারে! তিনটে সহজ ভুল, অনেকেই সেটা করে ফেলেন এসি কেনার পর। জেনে নেওয়া যাক সেই ভুলগুলো কী!

অনেকেই দুপুরে বা রাতে ঘুমনোর সময় এসি চালান। টাইমার সেট করেন। তার পর একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর এসির কম্প্রসর অফ হলে দুম করে পাওয়ার সুইচ বন্ধ করে দেন। অর্থাৎ রিমোটে এসি বন্ধ করেন না। এই অভ্যেস কিন্তু এসির আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। হঠাৎ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হলে এসির ভেতরের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলিতে চাপ পড়ে।

এসির ফিল্টার কিন্তু খুব দরকারি একটা পার্টস। অনেকেই নির্ধারিত সময় অন্তর এসির ফিল্টার পরিষ্কার করেন না। ফলে এসি থেকে বিভিন্ন আওয়াজ আসতে পারে। জমে থাকা ধূলো, ময়লা এসির বিভিন্ন পার্টস-এর ক্ষতি করতে পারে। তাই ম্যানুয়াল ফলো করে এসির ফিল্টার পরিষ্কার করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

অনেকেই এসি রিমোটে বন্ধ করেন। কিন্তু পাওয়ার সুইচ বন্ধ করতে ভুলে যান। অনেকটা সময় পর পাওয়ার সুইচ অফ করার কথা মনে পড়ে। এটা কিন্তু এসির ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। সব সময় রিমোটে এসি বন্ধ করার কিছু সময় পর পাওয়ার সুইচ বন্ধ করা উচিত।