করোনা আক্রান্ত কিনা তা আগেভাগেই জানিয়ে দেবে ফিটনেস ট্র্যাকার, কিন্তু কী ভাবে ?

Last Updated:
কে করোনা আক্রান্ত, উপসর্গ না থাকলেও এই তথ্য দিতে পারে ফিটনেস ট্র্যাকার
1/5
কে করোনা আক্রান্ত, উপসর্গ না থাকলেও এই তথ্য দিতে পারে ফিটনেস ট্র্যাকার।  Apple, Garmin, Fitbit-এর মতো ফিটনেস ট্র্যাকারগুলি শরীর খারাপ লাগার আগেই আপনাকে বলে দিতে পারবে আপনি করোনা আক্রান্ত কি না! এমনই বলছে, নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হেলথ সিস্টেম ও ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা।
কে করোনা আক্রান্ত, উপসর্গ না থাকলেও এই তথ্য দিতে পারে ফিটনেস ট্র্যাকার। Apple, Garmin, Fitbit-এর মতো ফিটনেস ট্র্যাকারগুলি শরীর খারাপ লাগার আগেই আপনাকে বলে দিতে পারবে আপনি করোনা আক্রান্ত কি না! এমনই বলছে, নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হেলথ সিস্টেম ও ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা।
advertisement
2/5
তাদের দাবি, এই ফিটনেস ট্র্যাকারগুলি হার্ট রেট মনিটর করে। ফলে শরীর খারাপ হলেই এরা সেটা বুঝতে পারে। কী ভাবে? তাদের কথায়, দু'টি হার্ট বিটের অর্থাৎ হৃদস্পন্দের মাঝের সময়টা এরা মেপে থাকে। যদি কারও শরীর ঠিক থাকে এবং শরীরে কোনও ইনফেকশন না থাকে, তা হলে হৃদস্পন্দন ওঠা-নামা নির্ভর করে কোন পরিস্থিতিতে একজন মানুষ রয়েছে তার উপরে। সে ক্ষেত্রে হার্ট রেট পরিবর্তিত হবে নার্ভাস সিস্টেম, স্ট্রেসের উপরে নির্ভর করে। আর যদি শরীরে কোনও ভাইরাস থাকে, বিশেষ করে ইনফ্ল্যামেটরি ইনফেকশন, তা হলে নার্ভাস সিস্টেম খুব দেরি করে কাজ করে ও তার জন্য হার্ট রেটে সহজেই পরিবর্তন হয় না। আর এই বিষয়টি লক্ষ্য করলেই ইনফেকশনে সংক্রমিত কি না তা বোঝা যাবে।
তাদের দাবি, এই ফিটনেস ট্র্যাকারগুলি হার্ট রেট মনিটর করে। ফলে শরীর খারাপ হলেই এরা সেটা বুঝতে পারে। কী ভাবে? তাদের কথায়, দু'টি হার্ট বিটের অর্থাৎ হৃদস্পন্দের মাঝের সময়টা এরা মেপে থাকে। যদি কারও শরীর ঠিক থাকে এবং শরীরে কোনও ইনফেকশন না থাকে, তা হলে হৃদস্পন্দন ওঠা-নামা নির্ভর করে কোন পরিস্থিতিতে একজন মানুষ রয়েছে তার উপরে। সে ক্ষেত্রে হার্ট রেট পরিবর্তিত হবে নার্ভাস সিস্টেম, স্ট্রেসের উপরে নির্ভর করে। আর যদি শরীরে কোনও ভাইরাস থাকে, বিশেষ করে ইনফ্ল্যামেটরি ইনফেকশন, তা হলে নার্ভাস সিস্টেম খুব দেরি করে কাজ করে ও তার জন্য হার্ট রেটে সহজেই পরিবর্তন হয় না। আর এই বিষয়টি লক্ষ্য করলেই ইনফেকশনে সংক্রমিত কি না তা বোঝা যাবে।
advertisement
3/5
মাইন্ট সিনাই হেলথ সিস্টেমের তরফে এই সংক্রান্ত যে গবেষণাটি করা হয়েছে, তার লেখক রব হার্টেন বলছেন, আমরা বর্তমানে মানুষজনের মুখের কথায় বিশ্বাস করছি। কেউ যখন বলছেন যে, তাঁর শরীর ভালো লাগছে না বা দুর্বল লাগছে, তখন তাঁকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু যাঁদের এই ধরনের সমস্যা নেই অর্থাৎ উপসর্গ নেই, তাঁরা কিন্তু এই ধরনের ফিটনেস ট্র্যাকারের সাহায্যে পুরো বিষয়টি ধরতে পারেন। এবং সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে এই ফিটনেস ট্র্যাকার বড় ভূমিকা নিতে পারে। কেন না, ইনফ্ল্যামেটরি ইনফেকশনের ক্ষেত্রে হার্ট রেটে পরিবর্তন হয়। আর করোনা সংক্রমিত হলেও ইনফ্ল্যামেটরি সমস্যা থেকে যায়। ফলে এই ট্র্যাকারের সাহায্যে এই ভাইরাসও চিহ্নিত করা সম্ভব।
মাইন্ট সিনাই হেলথ সিস্টেমের তরফে এই সংক্রান্ত যে গবেষণাটি করা হয়েছে, তার লেখক রব হার্টেন বলছেন, আমরা বর্তমানে মানুষজনের মুখের কথায় বিশ্বাস করছি। কেউ যখন বলছেন যে, তাঁর শরীর ভালো লাগছে না বা দুর্বল লাগছে, তখন তাঁকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু যাঁদের এই ধরনের সমস্যা নেই অর্থাৎ উপসর্গ নেই, তাঁরা কিন্তু এই ধরনের ফিটনেস ট্র্যাকারের সাহায্যে পুরো বিষয়টি ধরতে পারেন। এবং সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে এই ফিটনেস ট্র্যাকার বড় ভূমিকা নিতে পারে। কেন না, ইনফ্ল্যামেটরি ইনফেকশনের ক্ষেত্রে হার্ট রেটে পরিবর্তন হয়। আর করোনা সংক্রমিত হলেও ইনফ্ল্যামেটরি সমস্যা থেকে যায়। ফলে এই ট্র্যাকারের সাহায্যে এই ভাইরাসও চিহ্নিত করা সম্ভব।
advertisement
4/5
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার লেখক মিশেল স্নি়ডার বলছেন, স্মার্টওয়াচ বা ফিটনেস ট্র্যাকার ব্যবহারের সুবিধে হল, যে কেউ একটু লক্ষ্য রাখলেই করোনা আক্রান্ত কি না তা বুঝতে পারবেন। এই পরিস্থিতিতে যে ভাবে করোনা পরীক্ষা করাতে সমস্যা হচ্ছে, সময় লাগছে, তাতে আগে থেকে যদি কেউ বুঝতে পারেন যে তিনি করোনা আক্রান্ত, তা হলে অকারণ পরীক্ষা করার প্রবণতা কমবে। পাশাপাশি, মানুষও সচেতন হয়ে যাবে, ফলে সংক্রমণ ছড়াবে না।
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার লেখক মিশেল স্নি়ডার বলছেন, স্মার্টওয়াচ বা ফিটনেস ট্র্যাকার ব্যবহারের সুবিধে হল, যে কেউ একটু লক্ষ্য রাখলেই করোনা আক্রান্ত কি না তা বুঝতে পারবেন। এই পরিস্থিতিতে যে ভাবে করোনা পরীক্ষা করাতে সমস্যা হচ্ছে, সময় লাগছে, তাতে আগে থেকে যদি কেউ বুঝতে পারেন যে তিনি করোনা আক্রান্ত, তা হলে অকারণ পরীক্ষা করার প্রবণতা কমবে। পাশাপাশি, মানুষও সচেতন হয়ে যাবে, ফলে সংক্রমণ ছড়াবে না।
advertisement
5/5
অন্যান্য রিপোর্ট বলছে, গবেষণাটি এই তিনটি সংস্থার মধ্যে কোনও একটিও স্পনসর করেনি। ফলে এটি সম্পূর্ণ একটি গবেষণা নির্ভর রিপোর্ট। ফলে সেটা যদি সত্যি হয় আর যদি এই ফিটনেস ট্র্যাকারই বলে দিতে পারে কেউ করোনা আক্রান্ত কি না, তা হলে সত্যিই সংক্রমণের পরিমাণ কমবে!
অন্যান্য রিপোর্ট বলছে, গবেষণাটি এই তিনটি সংস্থার মধ্যে কোনও একটিও স্পনসর করেনি। ফলে এটি সম্পূর্ণ একটি গবেষণা নির্ভর রিপোর্ট। ফলে সেটা যদি সত্যি হয় আর যদি এই ফিটনেস ট্র্যাকারই বলে দিতে পারে কেউ করোনা আক্রান্ত কি না, তা হলে সত্যিই সংক্রমণের পরিমাণ কমবে!
advertisement
advertisement
advertisement