AI: এআই কি সত্যিই চাকরির বাজারে মন্দা আনবে? Microsoft প্রধান সত্য নাদেলা যা বলছেন…
- Published by:Suman Majumder
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Microsoft এবং অন্যান্য টেক সংস্থাগুলি ধীরে ধীরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) বা এআই-এর দিকে ঝুঁকছে।
Microsoft এবং অন্যান্য টেক সংস্থাগুলি ধীরে ধীরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) বা এআই-এর দিকে ঝুঁকছে। ফলে যাঁরা সদ্য কলেজ পাশ করে বেরোচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। যদিও নতুন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের পরামর্শ দিচ্ছেন Microsoft-এর সত্য নাদেলা। তাঁর বক্তব্য, এআই নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বরং নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এআই-এর উপস্থিতিকে খোলা হাতে আলিঙ্গন করতে হবে।
advertisement
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই যুগে একটি আদর্শ পরিবর্তনের অংশ নাদেলা নিজেও। কিন্তু তিনি এ-ও নির্দেশ করেছেন যে, বেসিক ফান্ডামেন্টাল কখনওই আউট অফ ফ্যাশন হয় না। আর এখন যাঁরা আসছেন, তাঁদেরও এই বিষয়টা মাখায় রাখা উচিত। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে নিজের বক্তব্য রেখেছিলেন Microsoft-এর প্রধান। সেখানে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। প্রতিযোগিতামূলক প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যাঁরা কাজ শুরু করছেন, তাঁদের জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন।
advertisement
চাকরির বাজার ক্রমশ গ্রাস করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এই চিত্রটা বিগত কয়েক মাস ধরে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়েই নাদেলাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি বলেন যে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রে এআই আরও উন্নত হচ্ছে। তবুও এটি এমন মানুষদের সহায়তা করার জন্য রয়েছে, যাঁদের চূড়ান্ত পণ্যটি তৈরি করার জন্য নিজেদের যুক্তি এবং কাঠামো প্রয়োগ করতে হয়। তিনি আরও বলেন যে, ইঞ্জিনিয়ারদের পরিবর্তে শীঘ্রই আমাদের কাছে সফটওয়্যার আর্কিটেক্টদের একটি বাহিনী থাকবে, যাঁরা AI-এর জন্য ভারি কাজ করার পথ তৈরি করবে এবং মানুষকে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোনিবেশ করতে সহায়তা করবে। নাদেলার বক্তব্য, আমরা সকলেই আরও বেশি করে সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট হয়ে উঠতে চলেছি।
advertisement
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, Microsoft নিজেদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা বা এআই সিস্টেমকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার এবং আরও স্মার্ট করে তোলার জন্য নিজেদের কর্মীদের ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে অবশেষে কোম্পানিটি ঠিক সেই কর্মীদেরই ছাঁটাই করেছে। এই বিবৃতিগুলির মাধ্যমে নাদেলা যে বিষয়টি জোর দিয়ে বলতে চাইছেন, তা হল - এআই দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হবে। এমনকী এটা কেবল তার সূচনা মাত্র!
কোম্পানিটি দেখেছে যে, ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কোডিং এআই দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। যা কর্মীদের প্রয়োজনীয়তা এবং উদ্দেশ্য প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু নিজস্ব একটি উদাহরণ উল্লেখ করে নাদেলা বলেন যে, প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাগুলি সহায়তা এবং কার্যকর করার জন্য রয়েছে, যখন মানুষ পণ্যটিকে সেই পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রোডম্যাপ তৈরি করে। যেভাবে বেশিরভাগ এআই বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে, ইন্ডাস্ট্রিতে এআই এবং এর ব্যাপক রিচের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার কোনও মানে হয় না। ওয়ার্ক সিস্টেমকে আরও স্মার্ট করে তুলতে এবং খরচ হ্রাস করার জন্য কেবল প্রযুক্তিকে গ্রহণ করতে হবে।
কোম্পানিটি দেখেছে যে, ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কোডিং এআই দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। যা কর্মীদের প্রয়োজনীয়তা এবং উদ্দেশ্য প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু নিজস্ব একটি উদাহরণ উল্লেখ করে নাদেলা বলেন যে, প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাগুলি সহায়তা এবং কার্যকর করার জন্য রয়েছে, যখন মানুষ পণ্যটিকে সেই পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রোডম্যাপ তৈরি করে। যেভাবে বেশিরভাগ এআই বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে, ইন্ডাস্ট্রিতে এআই এবং এর ব্যাপক রিচের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার কোনও মানে হয় না। ওয়ার্ক সিস্টেমকে আরও স্মার্ট করে তুলতে এবং খরচ হ্রাস করার জন্য কেবল প্রযুক্তিকে গ্রহণ করতে হবে।
advertisement
এদিকে সম্প্রতি চাকরির বাজারে এআই-এর প্রভাব সংক্রান্ত বিষয়ে সম্প্রতিই বক্তব্য রেখেছেন Google সিইও সুন্দর পিচাই। তিনি জানিয়েছেন যে, Google-এর কার্যকলাপকে একটা ভাল মাত্রা দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। আসলে বর্তমানে সকলের মনে একটাই উদ্বেগ যে, পরবর্তী সময়ে চাকরিতে মানুষের জায়গা নিয়ে নেবে এআই। এ নিয়ে আশ্বাস দিয়ে পিচাই জানিয়েছেন যে, চাকরির বাজার খেয়ে নিতে পারবে না এআই। বরং তা পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ সামলে ইঞ্জিনিয়ারদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করবে। তাঁর দাবি, এআই মানুষের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করবে। তাঁদের জায়গা নেবে না। সেই সঙ্গে ২০২৬ সালের মধ্যে আরও ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করার বিষয়ে পরিকল্পনা রয়েছে Google-এর, সে কথাও তুলে ধরেছেন তিনি।
advertisement
শুধু নাদেলা কিংবা পিচাই নন, চাকরির উপর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর প্রভাবের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ দিন কয়েক আগেই পোস্ট করেছেন Zoho প্রতিষ্ঠাতা শ্রীধর ভেম্বু। সেখানে তিনি এমন একটি পরিস্থিতির কল্পনা করেছেন, যেখানে সমস্ত সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট স্বয়ংক্রিয় ভাবে সম্পন্ন হবে। জোর দিয়ে ভেম্বু আরও বলেছেন যে, আমরা এই বিষয়টা অর্জন করা থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছি। তিনি আরও তুলে ধরেছেন যে, যদি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মসংস্থান না-ও থাকে, তবুও মানুষকে কিন্তু কাজ করে যেতেই হবে।