এমএস ধোনির জীবন অবলম্বনে বলিউডের বিখ্যাত ছবি আমরা সকলেই দেখেছি। তবে রিল আর পর্দার মাঝে অনেক কথাই সেখানে চাপা পড়ে গিয়েছে। আজ আমরা এই দম্পতির এমন কিছু অজানা কথাই পাঠকদের সঙ্গে ভাগ করে নেব। সাক্ষী ধোনি অসমের লেখাপানিতে অবস্থিত একটি স্কুল থেকে তাঁর প্রি-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা লাভ করেছিলেন। সেখানেই পড়াশোনা করতেন ভারতের আরও এক ক্রিকেট তারকা ও ভারতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির স্ত্রী বলিউড অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা। যদিও এর পর সাক্ষী দেরাদুনের বিখ্যাত ওয়েলহাম গার্লস স্কুল এবং রাঁচির জওহর বিদ্যা মন্দিরে নিজের বাকি পড়াশোনা শেষ করেছেন। মহেন্দ্র সিং ধোনি জওহর বিদ্যা মন্দিরে তাঁর সিনিয়র ছিলেন।
সাক্ষী সিং ধোনি ঔরঙ্গাবাদের হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট থেকে ম্যানেজমেন্টে নিজের স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এর পর তিনি কলকাতার তাজ বেঙ্গল হোটেল থেকে ইন্টার্নশিপ সমাপ্ত করেন। সেখানেই সাক্ষীর এমএস ধোনির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষী 'সাক্ষী রাওয়াত ফাউন্ডেশন'-এর প্রতিষ্ঠাতা। এই সংস্থা অনাথ বাচ্চাদের সাহায্য করার জন্য কাজ করে।
মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং সাক্ষী ৪ জুলাই ২০১০ তারিখে দেহরাদুনে বিবাহ সম্পন্ন করেন। তাঁদের প্রেমের গল্প বেশ মজার। সাক্ষী তাঁর স্কুলে এমএস ধোনির জুনিয়র ছিলেন কিন্তু তখনও দু’জনের কেউই কাউকে সেভাবে চিনতেন না, দু’জনের মধ্যে কখনও কথাও হয়নি। দু’জনের বাবাই রাঁচিতে একসঙ্গে কাজ করতেন। সাক্ষী এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি ম্যানেজার যুধজিৎ দত্তের মাধ্যমে একে অপরের সাক্ষাৎ পান। যে হোটেলে সাক্ষী ইন্টার্নশিপ করছিলেন, সেখানেই দুজনের প্রথম দেখা হয়। এরপর ধোনি তার ম্যানেজারের থেকে সাক্ষীর নম্বর নিয়ে প্রথম যোগাযোগের চেষ্টা করেন।
এমএস ধোনি যখন প্রথম সাক্ষীকে মেসেজ করেছিলেন, তখন সাক্ষী ভেবেছিলেন কেউ তাঁর সঙ্গে রসিকতা করার চেষ্টা করছেন। আসলে সাক্ষী বিশ্বাসই করতে পারেননি যে ধোনি নিজেই তাঁকে মেসেজ করবেন। পরে ক্রমে ক্রমে সাক্ষীর ভুল ভাঙলে দুজনের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়। প্রায় আড়াই বছর তাঁরা একে অপরকে ডেট করেছেন। এই সময়ে ধোনি মিডিয়ার থেকে নিজের সম্পর্ক একেবারেই গোপন রেখেছিলেন। পরে পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে বিয়ে হয় দুজনের। এই দম্পতির একটি মেয়েও রয়েছে। সাক্ষী ও ধোনির নিজেদের মেয়ের নাম রেখেছেন জিভা।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির স্ত্রী সাক্ষী ধোনির জন্ম ১৯৮৮ সালের ১৯ নভেম্বরে অসমে। সেখানেই তাঁর বাবা আর.কে. সিং বিনাগুড়ি চা কোম্পানিতে কাজ করতেন। সাক্ষীর মা শীলা সিং পেশায় গৃহিণী। সাক্ষীর এক ভাই ও বোনও রয়েছে, তাঁর ভাইয়ের নাম অক্ষয় সিং এবং বোনের নাম অভিলাষা বিস্ত।