Viral News: প্রেমিকের কাতর আর্তি, 'ট্রেন লেটের কারণে সব হয়ে গেল ওলটপালট!', প্রেমিকা হল অন্য কারও, যা ঘটল তমলুকে...
- Published by:Raima Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:Saikat Shee
Last Updated:
Viral News: তমলুকে স্বপ্ন ভাঙল প্রেমিকের। প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেল অন্য কারও সঙ্গে। কিন্তু কেন জানেন?
সম্প্রতি সময়ে ছিঃ ছিঃ! ছিঃ রে ননি ছিঃ! প্রায় বছর ২০ আগের ওড়িশার একটি অ্যালবামের গান যখন রীতিমতো ভাইরাল, ঠিক সেরকমই একটি ঘটনা ঘটে গেল তমলুকে। প্রেমিকাকে সুখী রাখতে যখন গ্রামের বাড়ি ছেড়ে সুদূর রাজস্থানে কাজে গিয়েছিল হতদরিদ্র তমলুকের যুবক। তখন সেই ফাঁকেই বাড়ি ফিরে এসে দেখলেন অন্যত্র বিয়ে হয়ে গিয়েছে নাবালিকা স্কুল ছাত্রী প্রেমিকার।
advertisement
আর তাতেই যেন দিকশূন্য হয়ে পড়েছেন তিনি। তবে মনকে শক্ত করে মাকে সঙ্গে নিয়েই নাবালিকা প্রেমিকাকে ফিরে পেতে অশ্রুসজল নয়নে থানার দ্বারস্থ হল তমলুকের ওই যুবক। আর সেই চিত্র ঘিরেই রীতিমতো শোরগোল এলাকাজুড়ে। তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক। এই ব্লকের খারুই ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়রামচক গ্রামের যুবক কমলেশ চন্দ। তার সঙ্গে বছর খানেক আগেই পাশের আলুয়াচক গ্রামের এক নবম শ্রেণীর নাবালিকা স্কুলছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।
advertisement
যুবকের দাবি, নাবালিকা হলেও এই প্রেমের সূত্রেই তাদের মধ্যে অবাধ মেলামেশা ছিল। ফলে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের প্রস্তাবেও রাজি ছিল এই প্রেমিক যুগল। কিন্তু নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর হওয়ায় খানিকটা প্রেমিকার কাছে সময় চেয়েছিল। সেই মতো কথা হয় প্রেমিকার বয়স ১৮ পেরোলেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবে দু'জন। প্রেমিক-প্রেমিকার সিদ্ধান্তের পরেই প্রেমিকাকে সুখী করতে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে রাজস্থানে ফুলের কাজে গিয়েছিল কমলেশ।
advertisement
কমলেশ বাড়ি ছাড়ার পরেই ওই নাবালিকা প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেন পরিবারের লোকজনেরা। আচমকা ফোনে এমন সংবাদ পেয়েই তড়িঘড়ি করে গ্রামের বাড়িতে ফেরার জন্য দূরপাল্লার একটি ট্রেনে চড়ে বসেছিল সে। কমলেশের দাবি, পরিবারের লোকজন জোর করে বিয়ে দিচ্ছিল বলে জানিয়েছিল নাবালিকা প্রেমিকা।
advertisement
advertisement
কিন্তু ট্রেন লেট করায় সময়মতো পৌঁছতে পারেনি কমলেশ। তার আগেই অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায় তাঁর নাবালিকা প্রেমিকার। কমলেশের দাবি, 'ভালবাসার মানুষের জোর করে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে তার পরিবার। বহু খোঁজাখুঁজি করেও তাদের এখনও পর্যন্ত হদিশ পাইনি। বহুবার ফোন করিও ফোন লাগছে না। তাই এমন অন্যায়ের সুবিচার চাইতে এদিন আমরা সকলেই তমলুক থানায় গিয়েছিলাম।'
advertisement
কমলেশের প্রশ্ন নাবালিকা বলে কি প্রেম করা অন্যায়? তাহলে যারা ওই নাবালিকার গোপনে জোর করে বিয়ে দিল তাদের কি কোনও রকমের শাস্তি হবে না? যদিও এ বিষয়ে তমলুক থানার আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষ বলেন, 'নাবালিকার বিয়ের অভিযোগ জমা পড়েনি। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নাবালিকার যদি বিয়ে হয় তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' যুবক কমলেশের কথায় জানা যায় মেয়েটি নিজেই প্রথম তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল।
advertisement