Traffic Fine: ট্রাফিক ফাইন-এ বিশাল ছাড়! ২০% জরিমানা দিলেই কেস নিষ্পত্তি, কোথায় এই সুবিধা মিলছে? জেনে নিন
- Published by:Ananya Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:Madan Maity
Last Updated:
Traffic Fine: আগামী ১৩ ডিসেম্বর বসছে ট্রাফিক চালান লোক আদালত। এখানে ১.৩৫ লক্ষেরও বেশি বকেয়া ট্রাফিক কেস মাত্র ২০% জরিমানা জমা দিয়ে নিষ্পত্তি করা যাবে।
হেলমেট না পরে বাইক চালানো, সিটবেল্ট না বাঁধা, সিগন্যাল ভাঙা বা ওভারলোডিং—এই লঙ্ঘনগুলোতে ট্রাফিক পুলিশ জরিমানা করে। অনেকেই সেই জরিমানা সময়মতো দেন না। ফলে নানা সরকারি কাজ থেমে যায়। এবার এই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রীয় লোক আদালত। আগামী ১৩ ডিসেম্বর বসবে ট্রাফিক চালান লোক আদালত। এখানে জরিমানার মাত্র ২০ শতাংশ জমা দিলেই কেস নিষ্পত্তি হবে।
advertisement
সূত্রের খবর, গত চার বছরে পূর্ব মেদিনীপুরে প্রচুর গাড়ি মালিক বকেয়া জরিমানার কারণে বিপাকে পড়েছেন। কারও গাড়ির রিনিউয়াল আটকে ছিল। কারও ফিটনেস টেস্ট সম্পন্ন করা যাচ্ছিল না। অনেক মালিক গাড়ির ট্রান্সফার করতেও পারেননি। কেউ গাড়ি বিক্রি করে ফেলেছেন। কেউ ভিনরাজ্যে চলে গেছেন। আবার অনেকে জানতেনই না যে তাদের নামে জরিমানা বকেয়া রয়েছে। এসব মিলিয়ে প্রায় ১.৩৫ লক্ষেরও বেশি কেস জমে গেছে।
advertisement
এই বিপুল কেস নিষ্পত্তির জন্য ববার বড় পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ (ডিএলএসএ)। জানানো হয়েছে, পুরো জরিমানার মাত্র পাঁচ ভাগের এক ভাগ দিলেই কেস বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থাৎ ৫০০ টাকার ফাইন হলে ১০০ টাকা, ১০,০০০ টাকার ফাইন হলে মাত্র ২,০০০ টাকা দিতে হবে। হেলমেট না পরা, সিটবেল্ট না বাঁধা, সিগন্যাল ভাঙা বা ওভারলোডিং—সব ক্ষেত্রেই এই সুবিধা প্রযোজ্য।
advertisement
আগামী ১৩ ডিসেম্বর তমলুক, হলদিয়া ও কাঁথি আদালতে বসবে ২৫টি লোক আদালতের বেঞ্চ। প্রতিটি বেঞ্চ শুধু ট্রাফিক কেস নিষ্পত্তির কাজ করবে। ইতিমধ্যে ডিএলএসএ প্রচার শুরু করেছে। মাইকিং করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে জানানো হচ্ছে যে কম টাকায় জরিমানা মেটানোর এটি বিশেষ সুযোগ। যারা দীর্ঘদিন ধরে কেস ফেলে রেখেছেন, তাদের জন্য এটি দারুন সুযোগ।
advertisement
জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সেক্রেটারি সুদীপা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, "মাত্র ২০ শতাংশ জরিমানা দিলেই মামলা নিষ্পত্তি হবে। প্রচারও বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, আগের লোক আদালতে প্রায় ১০,০০০ কেস নিষ্পত্তি হয়েছিল। এবার সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। মানুষ যাতে সহজে এই সুবিধা পান, সেজন্যই বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।"
advertisement
ট্রাফিক ফাইন মেটানোর এটি এক সুবর্ণ সুযোগ। খুব কম টাকায় বছরের পর বছর ধরে ঝুলে থাকা কেস বন্ধ করা যাবে। হাজার হাজার গাড়ি মালিক যারা রিনিউয়াল, ফিটনেস টেস্ট বা গাড়ির ট্রান্সফার করতে পারছিলেন না, তারাও মুক্তি পাবেন। ইতিমধ্যেই কাঁথিতে শুরু হয়েছে হেল্প ডেস্ক। হেল্প ডেস্কে গিয়ে জানা যাবে কত টাকা বকেয়া এবং কত দিতে হবে। পুলিশ, প্যারালিগ্যাল ভলান্টিয়ার ও আদালতকর্মীরাই সাহায্য করবেন।
