HS Exam: মেদিনীপুরে বাইক দুর্ঘটনার কবলে শিক্ষক! ভাঙা কলারবোন নিয়ে পৌঁছে দিলেন উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র
- Published by:Ratnadeep Ray
- hyperlocal
- Reported by:Ranjan Chanda
Last Updated:
HS Exam: সকালে বাইকে করে দাসপুর থানায় প্রশ্ন আনতে যাচ্ছিলেন রঞ্জিতকুমার জানা, পথে ঘটে দুর্ঘটনা। কলারবোন ভাঙার যন্ত্রণা নিয়ে তিনি তার দায়িত্বে অবিচল থেকেছেন।
পশ্চিম মেদিনীপুর: মেদিনীপুরের জেলায় অপর এক বিদ্যাসাগরের খোঁজ। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েও তিনি নিজেকে অবিরত রেখেছিলেন নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্যে। উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র আনতে যাওয়ার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন এক শিক্ষক। ভেঙে যায় তার কলার বোন, গুরুতর চোট পান। তবু দায়িত্ব থেকে তিনি সরেননি।
advertisement
advertisement
advertisement
প্রসঙ্গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার গৌরা সোনামুই কুঞ্জবিহারী আদর্শ শিক্ষায়তনেও পরীক্ষার সিট পড়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রঞ্জিতকুমার জানা এ দিন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আনতে যাচ্ছিলেন। পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। বরাত জোরে প্রাণে বাঁচলেও, ভেঙে যায় কলার বোন। গুরুতর চোট পান তিনি। প্রতীকী ছবি
advertisement
ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে যান থানায়। কারণ তার উপর প্রশ্নপত্র আনার দায়িত্ব। নির্দিষ্ট সময়ে হবে পরীক্ষা। প্রশ্ন সংগ্রহ করে, তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পৌঁছলে তবেই ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারবে। নিজের কষ্টকে মুখ বুজে সহ্য করে তিনি প্রশ্নপত্র নিয়ে পৌঁছে দেন পরীক্ষাকেন্দ্রে অর্থাৎ নিজের স্কুলে। প্রতীকী ছবি
advertisement
জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ নিজের বাইকে করে দাসপুর থানায় প্রশ্ন আনতে যাচ্ছিলেন রঞ্জিতকুমার জানা। ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের বকুলতলা এলাকায় একটি মালবাহী ট্রাকের আনলোডিং চলছিল। হঠাৎই ট্রাকের উপর থেকে একটি দড়ি নীচে ছুড়ে দেন এক শ্রমিক। সেই সময়ই ওই ট্রাকের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন ওই শিক্ষক। সেই দড়ি সোজা এসে তাঁর গলায় জড়িয়ে যায়। রাজ্য সড়কের উপর ছিটকে পড়েন তিনি। AI Image
advertisement
দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ঘাটাল মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর কলার বোন ভেঙে গিয়েছে। তবে কিছুটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও, ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে তিনি ডাক্তারদের বলেন স্কুলে পরীক্ষা, কিছু করতে হবে। এরপর ভাঙার যন্ত্রণা নিয়ে তিনি তার দায়িত্বে অবিচল থেকেছেন। প্রতীকী ছবি
advertisement
ঘাটাল মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস জানিয়েছেন, "এমন এক শিক্ষক পাওয়া ভাগ্যের। তার উদ্যোগ এবং তার কর্তব্য ও মানসিকতাকে সাধুবাদ জানানোর ভাষা নেই। তবে বর্তমানে তিনি ছুটিতে রয়েছেন।" পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন ওড়িশার একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। ভাঙা অবস্থাতেই চিকিৎসকেরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর ব্যান্ডেজ করে দেন। সেই অবস্থাতেই নিজের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ব্যান্ডেজ অবস্থায় তিনি স্কুলে যান, অসুস্থ অবস্থায় সম্পূর্ণ করেন প্রথম দিনের বাংলা পরীক্ষা। তার এই উদ্যোগ এবং দায়িত্ব ও কর্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে। প্রতীকী ছবি