Paddy Sell: সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির সময় বজায় রাখতে হবে নির্দিষ্ট গুণগত মান, না থাকলে নেবে না সরকার
- Published by:Madhab Das
- hyperlocal
- Reported by:Madan Maity
Last Updated:
আপনার ধানে নির্দিষ্ট গুণগত মান না থাকলে আধিকারিকরা সেই ধান ফিরিয়ে দিতে পারেন! তাই ধান বিক্রির আগে জানা জরুরি, আপনার ধানে কী কী গুণমান থাকা প্রয়োজন। এই নিয়মগুলি না জানলে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে গিয়ে বিপদে পড়তে পারেন আপনিও।
সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করছেন? কিন্তু জানেন কী, আপনার ধানে নির্দিষ্ট গুণগত মান না থাকলে আধিকারিকরা সেই ধান ফিরিয়ে দিতে পারেন! তাই ধান বিক্রির আগে জানা জরুরি, আপনার ধানে কী কী গুণমান থাকা প্রয়োজন। এই নিয়মগুলি না জানলে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে গিয়ে বিপদে পড়তে পারেন আপনিও।
advertisement
পটাশপুর ২ ব্লক খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের চিফ ইন্সপেক্টর অরিন্দম বসু জানান, "কৃষকদের ধান বিক্রি করার আগে ধানের সঠিক গুণমান বজায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, “ধান বিক্রির আগে ভালভাবে শুকিয়ে নিতে হবে, যেন কোনও রকম আর্দ্রতা না থাকে। ধান হবে পরিষ্কার ও একই জাতের। ধান শুকনো না থাকলে বা নোংরা থাকলে তা গ্রহণযোগ্য নয়।”
advertisement
ধানের সঠিক গুণমান বলতে বোঝায়—ধান পরিপক্ক, শুকনো, পরিষ্কার এবং একরকমের মাপ ও রঙের হওয়া জরুরি। ধানে যেন ছত্রাক না জন্মায়, পোকার সংক্রমণ না থাকে এবং কোনও অস্বাভাবিক বা বিষাক্ত গন্ধ না বেরোয়। এসব বিষয় কৃষকরা খেয়াল না রাখলে সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে ধান জমা দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই আগে থেকেই যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে।
advertisement
খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের মতে, ধানের মধ্যে জৈব মিশ্রণ সর্বাধিক ১% হতে পারবে, অজৈব মিশ্রণও সর্বাধিক ১%। আদ্রতা থাকতে পারবে সর্বোচ্চ ১৭%। অপরিপক্ক ও কুঞ্চিত ধান সর্বাধিক ৩% অবধি এবং নিম্নজাতের মিশ্রিত ধান সর্বাধিক ৬% অবধি গ্রহণযোগ্য। নষ্ট, বিবর্ণ, অঙ্কুরিত বা পোকায় কাটা ধান সর্বাধিক ৫% পর্যন্ত থাকতে পারবে। এর বেশি হলে সরকারি সহায়ক ধান কয় কেন্দ্রে ধান গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে।
advertisement
পটাশপুরের এক কৃষক সোমনাথ মাইতি বলেন, “আগে আমরা ঠিক বুঝতাম না ধান বিক্রির নিয়মকানুন কী। ফলে অনেক সময় ধান ফিরিয়ে দেওয়া হত। এখন আমরা ধান ভালভাবে শুকিয়ে, পরিষ্কার করে, আলাদা বস্তায় ভরে ক্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাই। আধিকারিকদের নির্দেশ মেনে চলার ফলে এখন আর কোনও সমস্যা হয় না। সময়মতো টাকা পাই, আর ফসল বিক্রির ঝামেলাও কমেছে অনেকটা।”
advertisement
সঠিক গুণগত মান বজায় রাখতে প্রতিটি ব্লকে গঠিত হয়েছে ব্লক মনিটরিং কমিটি। এই কমিটি কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে ধান কীভাবে সংরক্ষণ ও শুকাতে হবে। পাশাপাশি গুণমান বজায় রাখার নির্দেশনাও দিচ্ছেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা। আধিকারিকদের দাবি, প্রত্যেক কৃষক যেন ন্যায্য দামে তার ফসল বিক্রি করতে পারেন। তাই ধানের গুণগত মান বজায় রাখাও জরুরি।
