East Bardhaman News : সরকারি টাকায় 'দায়সারা' কাজ! হতে না হতেই বসে গেল রাস্তা! পরিদর্শনে গিয়ে ফ্যাঁসাদে ইঞ্জিনিয়াররা

Last Updated:
East Bardhaman News : সরকারের বরাদ্দ টাকায় দায়সারা কাজের অভিযোগ। সেচ দফতরের আধিকারিকরা এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভের মুখে পড়লেন।
1/4
কাটোয়া-২ ব্লকের সিঙ্গি পঞ্চায়েতের মালঞ্চ গ্রামটি ব্রহ্মানী নদীর তীরে অবস্থিত। দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামের মূল সংযোগ রাস্তা নদীর জলে ভেসে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। তিন মাস ধরে এই রাস্তায় যাতায়াত বন্ধ ছিল গ্রামবাসীদের। পুজোর আগে সেচ দপ্তর নদীর পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ফের সেখানে ধস নেমে যায়, ফলে পুরোপুরি ভেঙে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এখন গ্রামের মানুষদের নিকাশি নালার উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
কাটোয়া-২ ব্লকের সিঙ্গি পঞ্চায়েতের মালঞ্চ গ্রামটি ব্রহ্মানী নদীর তীরে অবস্থিত। দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামের মূল সংযোগ রাস্তা নদীর জলে ভেসে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। তিন মাস ধরে এই রাস্তায় যাতায়াত বন্ধ ছিল গ্রামবাসীদের। পুজোর আগে সেচ দফতর নদীর পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ফের সেখানে ধস নেমে যায়, ফলে পুরোপুরি ভেঙে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এখন গ্রামের মানুষদের নিকাশি নালার উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। <strong>(তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী)</strong>
advertisement
2/4
সেচ দফতরের উদ্যোগে নদীর পাড় মেরামতির কাজ করা হলেও, গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কাজের মান ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের। শুধুমাত্র বালির বস্তা, ঘ্যাস ও মাটির টুকরো দিয়ে মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। বৃষ্টির জলে রাস্তাও দিন দিন বসে যাচ্ছে। জল সোপ করে নিচ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে, ফলে রাস্তার ইট উঠে গিয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
সেচ দফতরের উদ্যোগে নদীর পাড় মেরামতির কাজ করা হলেও, গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কাজের মান ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের। শুধুমাত্র বালির বস্তা, ঘ্যাস ও মাটির টুকরো দিয়ে মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। বৃষ্টির জলে রাস্তাও দিন দিন বসে যাচ্ছে। জল বসছে রাস্তায়, ফলে রাস্তার ইট উঠে গিয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
advertisement
3/4
এই পরিস্থিতিতে ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেচ দফতরের আধিকারিকরা এলাকায় পরিদর্শনে এলে গ্রামবাসীরা তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। তারা অভিযোগ তোলেন, সরকারি বরাদ্দ করা টাকা নষ্ট করা হয়েছে দায়সারা কাজের মাধ্যমে। নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করে তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করা হয়েছে, যার ফলে অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তা ধসে গেছে।তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
এই পরিস্থিতিতে ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেচ দফতরের আধিকারিকরা এলাকায় পরিদর্শনে এলে গ্রামবাসীরা তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। তারা অভিযোগ তোলেন, সরকারি বরাদ্দ করা টাকা নষ্ট করা হয়েছে দায়সারা কাজের মাধ্যমে। নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করে তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করা হয়েছে। যার ফলে অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তা ধসে গিয়েছে।<span style="color: currentcolor;">বিক্ষোভের মুখে পড়েন সেচ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুনীল চট্টোপাধ্যায় এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। তাঁরা জানান, “আমরা তড়িঘড়ি করে কাজ করেছিলাম। গ্রামের নিকাশি নালার জল নামার ফলে মাটি ধসে গিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে নদীর পাড় সংস্কারের জন্য নতুন করে ডিপিআর পাঠিয়েছি।” তবে গ্রামবাসীরা তা মানতে নারাজ।</span>
advertisement
4/4
গ্রামবাসীদের দাবি, “বালির বস্তার বদলে মাটির বস্তা দেওয়া হয়েছে, কাঠের পাইলিং ভালো মানের নয়। মাটি, ইটের টুকরো আর ঘ্যাস ফেলে দায়সারা কাজ করা হয়েছে।” তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পাথর দিয়ে নদীর পাড় বাঁধানো না হলে আর কোনও কাজ করতে দেওয়া হবে না। শেষ পর্যন্ত সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করেন, দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু হবে। তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
গ্রামবাসীদের দাবি, “বালির বস্তার বদলে মাটির বস্তা দেওয়া হয়েছে, কাঠের পাইলিং ভাল মানের নয়। মাটি, ইটের টুকরো আর ঘ্যাস ফেলে দায়সারা কাজ করা হয়েছে।” তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পাথর দিয়ে নদীর পাড় বাঁধানো না হলে আর কোনও কাজ করতে দেওয়া হবে না। শেষ পর্যন্ত সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করেন, দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু হবে। <strong>(তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী)</strong>
advertisement
advertisement
advertisement