#কাঁথি: আষাঢ় নয়, মাঘ মাসের রথ। করোনার কারণে যে রথ টানা দু-বছর বন্ধই রেখেছিলেন এলাকার মানুষ (West Bengal News)। কিন্তু এবার অবস্থার সামান্য উন্নতি হওয়ায় প্রায় তিনশো বছরের প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী জমিদার আমলের রঘুনাথজীউ মন্দিরের মাঘী পূর্ণিমার রথযাত্রা উৎসবে আনন্দে মাতোয়ারা হলেন পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষজন।
(তথ্য় ও ছবি: সুজিত ভৌমিক)
মাঘী পূর্ণিমার বিশেষ দিনে রথ টানলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সঙ্গে রথ পুজো-পাঠেও অংশ নেন তাঁরা। কথিত আছে, কয়েকশো বছর আগে নস্করদিঘী গ্রামের এক ব্রাহ্মণ পরিবারের কোন একজন বংশধর উপনয়ন হওয়ার সময়ই গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাসী হয়ে বৃন্দাবন চলে গিয়েছিলেন। বহু বছর পরে সেই তিনিই ফিরে এসেছিলেন রঘুনাথজীউর শালগ্রাম শিলা গলায় ঝুলিয়ে। তারপরই রঘুনাথজীউ মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। (তথ্য় ও ছবি: সুজিত ভৌমিক)
যদিও গ্রামের এই সু-উচ্চ মন্দির সম্পর্কে আজও সকলের কাছে অনেক কিছুই অজানা। জানা যায়, জমিদার আমলেই রঘুনাথজীউ মন্দির নির্মাণের সময় টেরাকোটা মন্দিরের বেশ কিছু কাজ হয়েছিল। যা আজ প্রায় ক্ষয়ের চেহারা নিয়েছে। তবে মন্দিরটি ১৩ চূড়া বিশিষ্ট তৈরি হলেও একসময় সংস্কারের পর চূড়া কমিয়ে ৯টি চূড়া যুক্ত নবরত্ন মন্দির নামে প্রতিষ্ঠা হয়। যা গ্রামের কাছে রঘুনাথজীউর মন্দির হিসেবে পরিচিত। তবে এই মন্দিরের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাকাল সম্পর্কে সংশয় থেকেই গেছে। প্রাচীন ইতিহাস বলছে, নস্করদিঘী গ্রামে কোন ব্রাহ্মণ বসতি বা এই মন্দির ছিল না। একসময় বারুই সম্প্রদায় এখানে বসবাস করত। তবে রঘুনাথ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা কে তা আজও অজানা। (তথ্য় ও ছবি: সুজিত ভৌমিক)
স্থানীয় প্রাক্তন শিক্ষক মানস কুমার পতি বলেন, মাঘী পূর্ণীমায় রথ টানা হয়। সেই রথের টানেই নস্করদিঘী গ্রামের মানুষজন উপস্থিত হন মন্দির প্রাঙ্গনে। সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত হন এই মন্দির প্রাঙ্গনে। জমিদার আমলেই রঘুনাথজীউ মন্দির প্রতিস্থাপিত হয়। প্রতিদিন অন্নভোগ হয় রঘুনাথের জন্য।মন্দিরের শালগ্রাম শিলাই এখানে আসল আসল দেবতা হিসেবে পূজিত হয়ে আসছেন। (তথ্য় ও ছবি: সুজিত ভৌমিক)