রবীন্দ্রনাথই ধ্যান-জ্ঞান! দ্বিতীয় শান্তিনিকেতন গড়ার স্বপ্ন এই যুবকের, দুর্দান্ত তাঁর কর্মকাণ্ড
- Published by:Aishwarya Purkait
- hyperlocal
- Reported by:Saikat Shee
Last Updated:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই তাঁর ধ্যান-জ্ঞান। খেজুরিতে এক টুকরো শান্তিনিকেতন গড়ে তুলতে মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছেন এই ব্যক্তি।
advertisement
কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন তিনি। কিন্তু মাঝপথেই পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। ছবি আঁকা, গান বাজনার নেশা থাকায় পরিবার মেদিনীপুর আর্ট কলেজে ভর্তি করায় তাঁকে। সেখান থেকে স্নাতক পাশ পরে ভিন রাজ্যে গিয়ে আর্টের উপর স্নাতকোত্তর পাশ করেন। বেসরকারি স্কুলে পাঁচ বছর শিক্ষকতা করার পর চাকরি ছেড়ে ছবি, ভাস্কর্য, গান বাজনা, গাছপালা লাগানোর কাজে মত্ত হয়ে পড়েন অনিন্দ্য। (ছবি ও তথ্য: সৈকত শী)
advertisement
advertisement
অনিন্দ্যবাবু এখনও পর্যন্ত একশোর বেশি রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্য এবং বিভিন্ন মনীষী-সহ প্রায় ১৫০০ ভাস্কর্য গড়েছেন। পাশাপাশি প্রায় ২০০০ ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। মেদিনী কলা কুঞ্জে প্রায় দুই শতাধিক দুষ্প্রাপ্য গাছ রোপণ করেছেন। ২০২১ সাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার শিল্পীদের এবং স্থানীয় স্কুল পড়ুয়াদের তৈরি হাতের কাজ নিয়ে প্রদর্শনী করে চলেছেন। অনিন্দ্যবাবুর তৈরি ভাস্কর্য মধ্যপ্রদেশের 'রোজ গার্ডেন', মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর 'দূর্গা মন্দিরে' রয়েছে। এছাড়াও জেলা, রাজ্য-সহ ভিন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। (ছবি ও তথ্য: সৈকত শী)
advertisement
অনিন্দ্য সেন বলেন, "ছোট থেকে রবীন্দ্রনাথের বই পড়ে পড়ে কখন যে মনের মনিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছে তা বুঝতে পারিনি। এখন তিনিই আমার ধ্যান-জ্ঞান। চেষ্টা করে চলেছি তাঁর দেখানো পথে অনুসরণ করে এগিয়ে যাওয়ার। আমার আশা, জীবন দশায় আরও একটি শান্তিনিকেতন গড়ে তোলার। বর্তমান সময়ে আগের মতো কবিগুরুর কবিতা আর দেখা যায় না। আমার ভাস্কর্যের মধ্য দিয়ে সেই সমস্ত ছবি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছি।" (ছবি ও তথ্য: সৈকত শী)
advertisement
অনিন্দ্য সেনের স্বপ্ন, তাঁর জীবদ্দশায় নিজের এলাকায় শান্তিনিকেতনের পরিবেশ গড়ে তোলার। সেই লক্ষ্যে মগ্ন রয়েছেন তিনি। তাঁর এই কাজকে সম্মানিত করেছেন চণ্ডীপুর রবীন্দ্র পরিষদ। রবীন্দ্র পরিষদের সম্পাদক প্রতীক জানা বলেন, "রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে উনি যে কর্মকাণ্ড করে চলেছেন তা দেখে আমরা খুশি। তাঁর কর্মকাণ্ড আগামীতে জেলা, রাজ্যের পাশাপাশি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ুক।" অনিন্দ্য সেনের স্বপ্ন পূরণ হোক চাইছেন জেলার সংস্কৃতি মনস্ক মানুষজন। (ছবি ও তথ্য: সৈকত শী)