জোটে না নাম-যশ! দারিদ্রের জ্বালা নিয়েই মায়ের গয়না গড়ছেন, প্রতিমার সাজের নেপথ্যে 'এই' শিল্পীদের কাহিনী শুনলে চোখে জল আসবে
- Published by:Aishwarya Purkait
- hyperlocal
- Reported by:Sayani Sarkar
Last Updated:
Durga Puja 2025: প্রতিমা শিল্পীরা মাকে রঙের প্রলেপ দেওয়ার পর মাকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তোলেন এই শিল্পীরাই। কিন্তু প্রতিমা শিল্পীদের নাম সামনে এলেও সাজ শিল্পীদের নাম সামনে আসে না সেভাবে। আর্থিক এবং স্বীকৃতি - দুই দিক থেকেই পিছিয়ে পূর্ব বর্ধমানের জৌগ্রামের জরি শিল্পীরা।
advertisement
advertisement
রয়েছে চরম আর্থিক সমস্যা, মেলে না সরকারি সাহায্য। তা সত্ত্বেও বাপ ঠাকুরদার পুরনো পেশা জরি শিল্পকে এখনও কোনক্রমে বাঁচিয়ে রেখেছেন পূর্ব বর্ধমানের জৌগ্রামের কয়েকটি পরিবার। পুজো আসলেই বাড়তি কিছু রোজগার হয় আর সেই আশাতেই পুজোর প্রায় পাঁচ মাস আগে থেকেই তাঁরা দেবীর সাজ তৈরি শুরু করেন। দিনরাত এক করে তাঁরা কাজ করেন।
advertisement
advertisement
জরির সাজ শিল্পীদের আক্ষেপ, সরকার পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক সাহায্য করছেন অথচ এই শিল্পকে বাঁচাতে কোনরকম সাহায্য বা সরকারি ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। যার ফলে তাঁরা সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। চাহিদা থাকলেও অতিরিক্ত সাজ তাঁরা তৈরি করতে পারছেন না। সরকার যদি তাঁদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে তাঁরা একদিকে যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হবেন অন্যদিকে এই শিল্পের কদর আরও বৃদ্ধি পাবে।
advertisement
জরি শিল্পী চণ্ডীচরণ দাস বলে, 'আমরা প্রায় ৫০ বছর কাজ করছি,কোনরকমে কাজ করে সংসার চলে। বছরের এই সময় কাজ করি কিছু রোজগার হয়। কাজ আগে থেকে কিছু করে রাখতে পারলে ভাল উপার্জন হয় কিন্তু সেই অর্থ তো আমাদের নেই। সরকার যদি আমাদের কিছু এই কাজ করার জন্য সাহায্য করত, তাহলে হয়তো আমরা কাজটাকে একটু এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম'।
advertisement
তিনি আরও বলেন, 'শুধু আমরা না, আমাদের সঙ্গে আরও ছেলেরা কাজ করছে। অথচ তাদের সারা বছর কাজ দিতে পারছি না, অর্থের অভাবে। তারপর আবার থিম পুজোয় এই ধরনের সাজের চাহিদাও কমেছে অনেকটাই। আমরা বিভিন্ন দোকানে আমাদের কাজ বিক্রি করি। সেই কাজ অনেক সময় বিদেশেও যায়। অথচ আমরা পরিচিতি পাই না। আর লাভও হয় না। কারণ সেসব মাল দোকান থেকে বাইরে যায়। আমরা থেকে যাই সকলের নজরের আড়ালে'। (চিত্র ও তথ্য সূত্র: সায়নী সরকার)